Advertisement
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ছবির নেশায় সঙ্গী সাইকেল

শুধু অ্যাডভেঞ্চার নয়। রয়েছে ছবি তোলার নেশাও। দেশের নানা প্রান্তের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ভাষা, খাবার-সহ প্রতিদিনের জীবনকে লেন্সবন্দি করতে সাইকেল যাত্রাকেই বেছে নিয়েছেন বারাসতের হৃদয়পুরের যুবক চন্দন বিশ্বাস।

সম্মান: পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ন্যাফের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হল চন্দন বিশ্বাসকে। —নিজস্ব চিত্র।

সম্মান: পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ন্যাফের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হল চন্দন বিশ্বাসকে। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৫৯
Share: Save:

শুধু অ্যাডভেঞ্চার নয়। রয়েছে ছবি তোলার নেশাও। দেশের নানা প্রান্তের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ভাষা, খাবার-সহ প্রতিদিনের জীবনকে লেন্সবন্দি করতে সাইকেল যাত্রাকেই বেছে নিয়েছেন বারাসতের হৃদয়পুরের যুবক চন্দন বিশ্বাস।

চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি সাইকেল নিয়ে ‘ট্রান্স হিমালয়ান’ সফর শুরু করেন সদ্য ৩০ পার হওয়া ওই যুবক। কলকাতা, বাংলাদেশ, ত্রিপুরা হয়ে গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চল ঘুরে সেখান থেকে ভুটান পৌঁছন চন্দন। তারপর সিকিম ঘুরে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে পৌঁছলেন চন্দন। আপাতত কয়েকদিন এখানে থেকে ২-৩ মে চন্দন সাইকেল নিয়ে রওনা হবেন নেপালে।

গত ৭২ দিনের সাইকেল যাত্রায় ৩৩০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ফেলেছেন চন্দন। সফর সম্পূর্ণ করতে লাগবে প্রায় ২৫০ দিন। গোটা সফরে চন্দন অতিক্রম করবে ৮ হাজার কিলোমিটার। সাইকেলে লাদাখের খারদুংলা পাস হয়ে তিনি পৌঁছতে চান সিয়াচিন বেস ক্যাম্পে। সাইকেল নিয়ে হিমালয়ের কোলে কোলে ঘোরার সঙ্গে সঙ্গেই ভিডিও এবং স্টিল ফটোগ্রাফির মাধ্যমে প্রতিটি এলাকার তথ্য নথিভুক্ত করে চলেছেন চন্দন। শুক্রবার শহরের পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ন্যাফের তরফে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন ২০১৬ সালের এভারেস্ট জয়ী যুবক রুদ্রপ্রসাদ হালদারও।

চন্দনের কথায়, ‘‘পাহাড়, প্রকৃতি আর অ্যাডভেঞ্চার আমাকে সব সময় টানে। সাইক্লিং, ট্রেকিং, র‌্যাফটিং বা পর্বত অভিযান আগেও করেছি। এবার ট্রান্স হিমালয়ান সার্কেলটা প্রথমবার সাইক্লিং করে ডকুমেন্টরি তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছি।’’ অগস্ট মাস নাগাদ সফর শেষ হলে একটা ডকুমেন্টরি বানাবেন বলে জানান তিনি। ভবিষ্যতে হিমালয় নিয়ে কাজ করতে চাইলে সেই তথ্য কাজে লাগবে বলে আশা তাঁর।

চন্দনের বাবা দুলালকৃষ্ণ বিশ্বাস অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী। মা প্রতিভা বিশ্বাস সমাজকর্মী। পড়াশুনো শেষ করে ছবি তোলাকেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন তিনি। সাইকেল, তাঁবু, অন্যান্য যন্ত্র ও খাবার নিয়ে সফরের মোট খরচ ৫ লক্ষ টাকা। ন্যাফ বা সোনারপুর আরোহীর মতো সংগঠন পাশে থাকায় সফর করতে সুবিধে হওয়ার কথাও জানিয়েছেন চন্দন।

ন্যাফের মুখপাত্র শঙ্কর মজুমদার বলেন, ‘‘চন্দনের মতো ছেলেমেয়েদের পাশে আমরা সবসময় আছি।’’ চন্দনের তৈরি তথ্য ভান্ডারের প্রশংসাও করেছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE