Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

হার্টে সমস্যা, বিকল কিডনিও, অর্থাভাবে চিকিৎসা বন্ধ শিশুর

মাত্র ছ’বছর বয়স। এ সময় দস্যিপনা করে বেড়ানোর কথা। কিন্তু কিডনির অসুখে আক্রান্ত পারিজাত ভট্টাচার্যের ঠিকানা এখন বালুরঘাট হাসপাতাল।

পারিজাত ভট্টাচার্য

পারিজাত ভট্টাচার্য

অনুপরতন মোহান্ত
  হিলি শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৯ ০৩:৫০
Share: Save:

মাত্র ছ’বছর বয়স। এ সময় দস্যিপনা করে বেড়ানোর কথা। কিন্তু কিডনির অসুখে আক্রান্ত পারিজাত ভট্টাচার্যের ঠিকানা এখন বালুরঘাট হাসপাতাল। দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থানার কিসমতদাপট এলাকার বাসিন্দা বাবা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য গরিব পুরোহিত। ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে একরকম নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে সাহায্যের আবেদন করেছেন অসহায় বাবা।

দীপঙ্কর জানান, গতবছর অসুস্থ হয়ে পড়ে তাঁর ছেলে। জ্বর কোনওভাবেই কমছিল না। স্থানীয় চিকিৎসক দেখিয়েও লাভ হয়নি। এরপর বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর জানা যায়, পারিজাতের দু’টি কিডনি বিকল। দেরি না করে ছেলেকে নিয়ে রওনা দেন বেঙ্গালুরুর এক হাসপাতালে। কয়েক মাস ধরে সেখানে বাচ্চাটির চিকিৎসা চলে। ১৮ বছর না হলে কিডনি প্রতিস্থাপন সম্ভব নয় বলে সেখানকার চিকিৎসকেরা জানান। অসুস্থ অবস্থাতেই ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন দীপঙ্কর। গত রবিবার বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়ে পারিজাত। ফের থাকে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে আবার নতুন রোগ ধরা পড়ে। ছেলের হৃদপিণ্ড অনেকটাই বড় হয়ে গিয়েছে। এবং তাতে জল জমেছে। এই পরিস্থিতিতে ছেলের চিকিসার খরচ আর জোগাতে পারছেননা দীপঙ্কর।

হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক সোমনাথ সরকার জানান, কিডনির পাশাপাশি বাচ্চাটির হৃদপিণ্ডেরও সমস্যা রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বাইরের কোনও হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। দীপঙ্কর জানান, পুজোআচ্চা করে কোনওরকমে দুই ছেলেমেয়ে, স্ত্রী এবং বাবা-মাকে নিয়ে সংসার চালান তিনি। ছেলের চিকিৎসা করাতে আর বাইরে নিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য নেই তাঁর। সরকার বা কোনও সহৃদয় ব্যক্তির সাহায্য না পেলে হয়তো আর উঠে দাঁড়াতে পারবে না তাঁর ছেলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Health Kidney Transplant Medical
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE