Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

শিক্ষক নেই, স্কুলে বন্ধ পড়ানো

বাসিন্দাদের অভিযোগ, চার বছরের বেশি সময় ধরে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি চালু রয়েছে ওই স্কুলে। প্রতি বছর এই স্কুল থেকে প্রায় ১০০ জন পরীক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়।

অবরোধ: ছাত্ররা। নিজস্ব চিত্র

অবরোধ: ছাত্ররা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৭ ০৩:১৫
Share: Save:

বাংলা, সংস্কৃত ও দর্শনের শিক্ষক নেই। তাই এ বার ছাত্রভর্তি বন্ধ করে দেওয়া হল একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে। এরই প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন এলাকার বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ কোচবিহারের কুশশারহাট হাইস্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। প্রায় চার ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে রাখা হয়। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, চার বছরের বেশি সময় ধরে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি চালু রয়েছে ওই স্কুলে। প্রতি বছর এই স্কুল থেকে প্রায় ১০০ জন পরীক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়। এ বারও দু’টি শ্রেণি মিলিয়ে প্রায় শ’দুয়েক ছাত্র রয়েছে। হঠাৎ করেই ছাত্র ভর্তি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে চিন্তিত এলাকার মানুষ। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত কুশশারহাট হাইস্কুলে ২০১৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পঠনপাঠন শুরু হয়। সবমিলিয়ে স্কুলে ১১০০ ছাত্র রয়েছে। স্থায়ী শিক্ষকের ২২টা পদ থাকলেও বর্তমানে শিক্ষক রয়েছেন ১১ জন। ২০১৫ সালে বাংলা ও সংস্কৃতের শিক্ষক অবসর নেন। তারপর থেকে ওই পদে আর কাউকে নিয়োগ করা হয়নি। দর্শন পড়ানোর জন্য কোনও স্থায়ী শিক্ষক কোনওদিনই ছিল না। একমাত্র অস্থায়ী শিক্ষকও গত বছর চাকরি ছেড়ে চলে যান।

প্রধান শিক্ষক অরুময় সাহা বলেন, “ওই দুই শ্রেণিতে তিনটি বিষয়ের শিক্ষক নেই। তাই এ বার পুনর্নবীকরণের সময় ওই বিষয়গুলি তুলে দেওয়া হয়। ফলে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়া যাচ্ছে না।” কোচবিহার জেলার ডিআই (মাধ্যমিক) বালিকা গোলে জানান, তিনি ইতিমধ্যেই বিষয়টি কাউন্সিলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “শিক্ষক না থাকার জন্যে কাউন্সিল থেকে ওই বিষয়গুলি তুলে দেওয়া হয়েছে। তাতে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”

কোচবিহার জেলার সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, “কোনও বিষয় তোলে হবে না, চেয়ারপার্সন আশ্বাস দিয়েছেন। শিক্ষকের সমস্যা কী ভাবে মেটানো যায় দেখছি।”

শুধু ওই স্কুল নয়, দিনহাটার গীতালদহ হাইস্কুলে শিক্ষকের অভাবে দর্শন পড়ানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তা নিয়েও এ দিন ওই স্কুলের সামনে অবরোধে সামিল হয় ছাত্রছাত্রীরা। অভিভাবকদের কয়েক জন বলেন, “এ ভাবে স্কুলের অবনতি কেন হবে তার জবাব দিতে হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Classes Teacher কোচবিহার
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE