প্রতীকী ছবি।
ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর একাংশের সঙ্গে এক পরিবারের বিরোধে তদন্তে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ল পুলিশ। পুলিশের সামনেই সংঘর্ষে জড়াল দু’পক্ষ। আহত হয়েছেন দশ জন। মঙ্গলবার সকালে পুরাতন মালদহের মঙ্গলবাড়ির কামঞ্চ গ্রামের ঘটনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কয়েক জন গ্রামবাসীকে আটক করে গাড়িতে তুলে নেয় পুলিশ। অভিযোগ, এর পরে পুলিশকে হেনস্থা করে অভিযুক্তদের ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে মালদহ থানা থেকে বাড়তি পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। গ্রাম জুড়ে টহলদারি চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কামঞ্চ গ্রামের বাসিন্দা বিপিন রাজবংশী পেশায় দিনমজুর। সরকারি খাস জমিতে থাকেন তিনি। তাঁর বাড়ির পাশেই আছে একটি খেলার মাঠ। সেই মাঠে গ্রামের কিছু যুবক রোজ ফুটবল খেলেন। অভিযোগ, বল লেগে বিপিনবাবুর বাড়ির টালি ভেঙে যায়। নিষেধ করা সত্ত্বেও কাজ না হওয়ায় রবিবার থানায় অভিযোগ জানান বিপিনবাবু। অভিযোগ, তাতে তাঁর বাড়ির সামনে রাস্তা কেটে দেওয়া হয়। ফের পুলিশকে জানান বিপিনবাবু।
এ দিন সকাল দশটা নাগাদ তদন্তে যায় পুলিশ। পুলিশ যেতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীর একাংশ। পুলিশের গাড়ি আটকে চলে বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ তিন জনকে গাড়িতে তুলে নিলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় ওই যুবকদের। তার পরে পুলিশের সামনেই বাঁশ, লাঠি নিয়ে চলে দু’পক্ষের সংঘর্ষ। বিপিনবাবু-সহ মোট দশ জন আহত হন। বাড়তি পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। আহতরা স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করান।
বিপিনবাবু বলেন, ‘‘খেলার নাম করে পরিকল্পিত ভাবে আমাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। পুলিশে অভিযোগ জানানোয় আমাদের উপরে হামলা চালানো হয়েছে। আমি চাই ঘটনার তদন্ত করে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।’’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা তাঁদের উপরই দায় চাপিয়েছেন গ্রামবাসীর একাংশ। তাঁদের দাবি, খেলার মাঠের জায়গা দখল করে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের পুলেন রাজবংশী বলেন, ‘‘পুলিশকে বলা হয়েছে ঘটনা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে।’’ তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy