তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) প্রতিষ্ঠা দিবস সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ট্রেনের মধ্যেই সংগঠনের এক নেত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করার অভিযোগ উঠল সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে ট্রেনে। এনজিপি ছেড়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার পরে। তার পর থেকে ওই নেত্রীকে কোচবিহার থেকে আসা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীদের একাংশ নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। ওই নেত্রী রবিবার ফেসবুক লাইভে (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) নিজের ক্ষোভ উগরে দেন। সেখানে তাঁকে অভিযোগ করতে শোনা যায়, ট্রেনে থাকা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের একাংশের আচরণ এতটাই উশৃঙ্খল ছিল, যে তারা যে কোনও মেয়েকে ধর্ষণও করতে পারে এবং কামরায় থাকা দু’জন ‘হিংস্র, পশুর মতো আচরণ’ করেছে। টিএমসিপি নেতৃত্ব অভিযোগ না মানলেও, তোপ দেগেছে বিরোধীরা।
২৮ অগস্ট কলকাতায় সমাবেশের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা ট্রেনে কলকাতায় যাচ্ছেন। উত্তরবঙ্গ থেকে সংগঠনের এক নেত্রী শনিবার কলকাতার উদ্দেশে ট্রেনে রওনা দেন। এ দিন নিজের সংগঠনের কর্মীদের হাতে হেনস্থার অভিযোগ ‘লাইভ’-এ (আনন্দবাজার সত্যতা যাচাই করেনি) এসে বলেন। সে ভিডিয়ো (সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি) ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংগঠনের অন্যতম নেতা তমাল ঘোষ। তাঁর দাবি, “এ সব বিরোধী সংগঠনের কাজ। আমাদের হাজারো কর্মী কলকাতায় গিয়েছেন। তাঁদের ভিড়ে মিশে বিরোধী দলের লোকেরা এ কাজ করেছে।”
এ প্রসঙ্গে ধূপগুড়িতে সিপিএমের রাজ্য নেতা সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, “তৃণমূলের ছাত্র নেত্রী তৃণমূলেরই ছাত্র নেতাদের হাতে ট্রেনে নিগৃহীত হয়েছেন। এটাই তৃণমূল।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা, সে রাজ্যে মহিলারাই সুরক্ষিত নেই। এর থেকে লজ্জার আর কিছু হতে পারে নাl”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)