এ বার রেল স্টেশনে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল মোর্চা সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে টয় ট্রেনের গয়াবাড়ি স্টেশনে এক দল যুবক পেট্রোল লাগিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। গত কয়েকদিন ধরেই গয়াবাড়ি স্টেশন খুলতে বাধা দিচ্ছিল বন্ধ সমর্থকরা।
এ দিনও সকাল থেকে স্টেশনে তালা ঝোলানো ছিল। সে কারণে ঘটনার সময়ে রেলকর্মীরাও কেউ ছিলেন না। সূত্রের খবর, স্টেশন লাগোয়া এলাকায় সন্ধে থেকেই কয়েকজন যুবক জড়ো হয়েছিল। রাত বাড়তে তারাই স্টেশনে ঢুকে প্রথমে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।
মোর্চার তরফে দাবি করা হয়েছে, তাদের কোনও সমর্থক কোথাও আগুন লাগায়নি। পাহাড়ে নতুন করে অশান্তি শুরু হওয়ার পরে রাজ্য সরকারের একাধিক বাড়ি এবং গাড়িতে আগুন লাগানো হলেও, কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও সম্পত্তিতে আগুন লাগানোর ঘটনা এই প্রথম।
তবে বৃহস্পতিবার দিনভর অন্য রকম ছবি দেখা গেল শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে সুকনায়। দোকান খোলা। রাস্তার পাশে পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। চলছে ‘শাটল’ গাড়িও। সকাল থেকে বিকেল স্বাভাবিক জনজীবনের এই ছবি বদলাল না শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে জিটিএ এলাকার মধ্যে থাকা কার্শিয়াং ব্লকের সুকনায়।
এ দিন সকালে বিমল গুরুঙ্গের বাড়িতে তল্লাশি হওয়ার পরেই পাহাড়ে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে মোর্চা। ঘুম থেকে কার্শিয়াং, কালিম্পং থেকে দুধিয়া সর্বত্র দোকান বাজার বন্ধ হতে শুরু করে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বন্ধের চেহারা নেয় পাহাড়ি এলাকাগুলি। ব্যতিক্রম ছিল সুকনা।
বন্ধের খবর পাওয়ার পরে মোর্চার কয়েকজন সমর্থক জাতীয় সড়কের পাশে পাথরের মধ্যে কয়েকটি দলের পতাকা পুঁতে দিয়েছেন মাত্র। এর বেশি কোনও বিক্ষোভও হয়নি এলাকায়। যদিও অতীতে প্রতিবারই দার্জিলিং বন্ধে ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল এই এলাকাতে। এমনকী একবার সুকনা ফাঁড়িতেও হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল একদল মোর্চা সমর্থকের বিরুদ্ধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy