সকলকে সুস্থ রাখার উদ্দেশ্যে স্কুলে স্কুলে খাওয়ানো হয়েছিল কৃমির ওষুধ৷ কিন্তু সেই ওষুধ খেয়েই ছাত্র-ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ৷
রাজ্যের অন্য জায়গার মতো উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও বৃহস্পতিবার এমনই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ময়নাগুড়ির মাত্রাটা বাকি সব অংশকেই ছাপিয়ে গেছে ৷ সন্ধ্যা পর্যন্ত অসুস্থ হয়ে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে দু’শোর ওপর ছাত্র-ছাত্রী ৷ অবস্থার অবনতি হওয়ায় অনেককে ময়নাগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালেও স্থানান্তরিত করা হয়েছে ৷
কৃমির ওষুধ খেয়ে একসঙ্গে এত পড়ুয়ার অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনায় এদিন দুপুরের পর থেকেই কার্যত হুলুস্থুল পড়ে যায়। যদিও স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাদের অনেকেই বলছেন, ‘‘খালি পেটে ওই ওষুধ খাওয়ার জন্য কেউ কেউ অসুস্থ হতেই পারে ৷ কিন্তু মনে হচ্ছে, তাদের দেখে বাকিরা আতঙ্কেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ৷’’
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ও প্রশাসন সূত্রের খবর, এদিন সমস্যার শুরু হয় ময়নাগুড়ির সাপটিবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৷ কৃমির ওষুধ খেয়ে সেখানে একের পর এক পড়ুয়া অসুস্থ হতে শুরু করে বলে খবর৷ সময় যত বাড়ে ততই ওই স্কুলে অসুস্থ পড়ুয়ার সংখ্যাও বাড়তে থাকে ৷ সাপটিবাড়ি স্কুলের এই ঘটনা ছড়াতে না ছড়াতেই ময়নাগুড়ির আরো কয়েকটি স্কুলের পাশাপাশি জেলার আরো কিছু জায়গা থেকে স্কুলের পড়ুয়াদের অসুস্থ হওয়ার খবর আসতে শুরু করে৷
ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুল ও গোয়ালপোখরের ডাঙিপাড়া সুনীতি হাইস্কুলের বেশ কয়েকজন ছাত্রীও কৃমির ওযুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ উঠেছে। কোচবিহারেও আটজনকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে আট জনকে ভর্তি করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy