ধর্ষণে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলনে নামা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদককে মারধরের অভিযোগ উঠল দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি।
তাদের অভিযোগ, শুক্রবার দুপুরে দিনহাটার চৌপথীতে ব্লাড ডোনার অর্গানাইজেশন ও প্রতিবাদী নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক রাজা বৈদকে মারধর করা হয়। তৃণমূলের কয়েকজন কর্মী তাঁকে টানতে টানতে কিছুটা দূরে নিয়ে যায়। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা উদয়নবাবু তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। আন্দোলনে যোগ দেওয়া বিজেপির কয়েকজন কর্মীকেও মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে দিনহাটার স্টেশন পাড়ায় আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ক্ষুব্ধ জনতা রাতেই অভিযুক্তের বাড়িতে হামলা চালায়। শুক্রবার দুপুরে ১টা নাগাদ বাসিন্দারা অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে চৌপথীতে অবরোধ করেন। ওই অবরোধে রাজাবাবু তাঁর সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে যোগ দেন। পুলিশও ছিল সেখানে। আধ ঘণ্টা অবরোধ চলার পরে আচমকা উদয়নবাবুর নেতৃত্বে তৃণমূলের কর্মীরা সেখানে গিয়ে মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ।
উদয়নবাবু অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “বাইরের থেকে আসা কয়েকজন পথ অবরোধ করে জটিলতা তৈরি করেছিলেন। তাতেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। সেখানে যাতে কোনও অশান্তি না হয় সেজন্য আমি গিয়েছি। কাউকে মারধর করা হয়নি।” তবে রাজাবাবুর অভিযোগ, অবরোধ চলার সময় শাসক দলের কয়েকজন লোক এসে তাঁকে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। জোর করে সেখান থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বলেন, “আমি কেন এখানে এসেছি তা জানতে চান উদয়নবাবু। এর পরেই আমাকে মারধর করেন তিনি। আমি নিজে কোনও রাজনৈতিক দল করি না। অন্যায়ের ঘটনা শুনলে প্রতিবাদে সামিল হই। সেটা করেই যাব।”
বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “দিনহাটায় সাধারণ মানুষকে সন্ত্রস্ত করে রাখার চেষ্টা করছেন উদয়নবাবু। প্রতিবাদে আন্দোলন হবে।”কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “ধর্ষণে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy