Advertisement
E-Paper

প্রতিবাদে গালি, প্রহার

অভিযুক্তরা এখনও পলাতক। বুধবার রাত ১০ টার পরের ঘটনা। এই ঘটনায় গভীর রাত পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা থাকে। মারের চোটে জখম ছাত্রী সহ তার মা। তাঁদের বাঁচাতে এলে অভিযুক্তদের মারে জখম হয় ছাত্রীর কাকি, দাদা ও প্রতিবেশী ৫০ বছরের এক মহিলা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৭ ০৩:৩৩
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নবম শ্রেণির ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ জানাতে গেলে ছাত্রী সহ তার বাড়ির মহিলাদের মারধর অশ্লীল গালিগালাজের করার অভিযোগ উঠেছে ধূপগুড়ির পূর্বমাগুরমারি গ্রামে। মারধর ও উত্ত্যক্ত করার বিরুদ্ধে তিন জনের নামে ধূপগুড়ি থানায় অভিযোগ করেছেন ছাত্রীর মা।

গুরুতর আহত মহিলাকে ধূপগুড়ি হাসপাতাল থেকে রাতেই জলপাইগুড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ধূপগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আহত অভিযোগকারী ছাত্রীর মা বলেন, “আমার মেয়েকে অভিযুক্তরা স্কুলে যাওয়ার সময় পাড়ার কয়েকটি ছেলে মাঝে মাঝেই উত্ত্যক্ত করত। এদিন অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে অভিযুক্তদের না পেয়ে তাঁদের বাড়ির মহিলাদের কাছে ছেলেদের শাসন করার কথা বলতেই মহিলাও আমাকে গালিগালাজ করে। কিছু ক্ষণ পর অভিযুক্ত এসে আমার মেয়েকে ঘরে ঢুকে মারধর শুরু করে জামা কাপড় ছিঁড়ে দেয়। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে মারধর শুরু করে আমারও পড়নের কাপড় ছিঁড়ে দেয়। যারা আমাদের বাঁচাতে আসে তাঁদেরকেও মারধর শুরু করে।’’

অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।” ধূপগুড়ির আই সি সঞ্জয় দত্ত বলেন, “মারধর ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ পেয়েছি। জহিরুক হক, সফিকুল হক ও আব্বাস উদ্দিন এই তিন জনের নামে অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ রাতে হাসপাতালে গিয়ে আহতদের দেখে এসেছে।” ছাত্রীটি জানায়, “কী হল কিছু বোঝার আগেই রান্না ঘরে পাথর ছুড়ে মারে আমাকে। পরে ঘরে রান্না ঘরে ঢুকে মারধর শুরু করে। আমার চিৎকার শুনে মা ও অন্যরা ছুটে এলে তাঁদেরকেও মারে। জহিরুল, সফিকুল ও আব্বাস তিনজন মিলেই আমার পিঠে, বুকে, হাতে লাঠি ও হাত দিয়ে মারে।”

এই ধূপগুড়িতেই এক ছাত্রী তার বাবাকে সালিশি সভায় অপমানের হাত থেকে বাঁচাতে গেলে অপমানিত হন বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই ছাত্রীর পরে মৃতদেহ পাওয়া যায় রেল লাইনের ধার থেকে। সেখানেই আবার ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার নালিশ ওঠায় প্রশ্ন উঠেছে।

Thrasing Eve Teasing ধূপগুড়ি
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy