প্রতীকী ছবি।
নবম শ্রেণির ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ জানাতে গেলে ছাত্রী সহ তার বাড়ির মহিলাদের মারধর অশ্লীল গালিগালাজের করার অভিযোগ উঠেছে ধূপগুড়ির পূর্বমাগুরমারি গ্রামে। মারধর ও উত্ত্যক্ত করার বিরুদ্ধে তিন জনের নামে ধূপগুড়ি থানায় অভিযোগ করেছেন ছাত্রীর মা।
গুরুতর আহত মহিলাকে ধূপগুড়ি হাসপাতাল থেকে রাতেই জলপাইগুড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ধূপগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আহত অভিযোগকারী ছাত্রীর মা বলেন, “আমার মেয়েকে অভিযুক্তরা স্কুলে যাওয়ার সময় পাড়ার কয়েকটি ছেলে মাঝে মাঝেই উত্ত্যক্ত করত। এদিন অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে অভিযুক্তদের না পেয়ে তাঁদের বাড়ির মহিলাদের কাছে ছেলেদের শাসন করার কথা বলতেই মহিলাও আমাকে গালিগালাজ করে। কিছু ক্ষণ পর অভিযুক্ত এসে আমার মেয়েকে ঘরে ঢুকে মারধর শুরু করে জামা কাপড় ছিঁড়ে দেয়। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে মারধর শুরু করে আমারও পড়নের কাপড় ছিঁড়ে দেয়। যারা আমাদের বাঁচাতে আসে তাঁদেরকেও মারধর শুরু করে।’’
অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।” ধূপগুড়ির আই সি সঞ্জয় দত্ত বলেন, “মারধর ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ পেয়েছি। জহিরুক হক, সফিকুল হক ও আব্বাস উদ্দিন এই তিন জনের নামে অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ রাতে হাসপাতালে গিয়ে আহতদের দেখে এসেছে।” ছাত্রীটি জানায়, “কী হল কিছু বোঝার আগেই রান্না ঘরে পাথর ছুড়ে মারে আমাকে। পরে ঘরে রান্না ঘরে ঢুকে মারধর শুরু করে। আমার চিৎকার শুনে মা ও অন্যরা ছুটে এলে তাঁদেরকেও মারে। জহিরুল, সফিকুল ও আব্বাস তিনজন মিলেই আমার পিঠে, বুকে, হাতে লাঠি ও হাত দিয়ে মারে।”
এই ধূপগুড়িতেই এক ছাত্রী তার বাবাকে সালিশি সভায় অপমানের হাত থেকে বাঁচাতে গেলে অপমানিত হন বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই ছাত্রীর পরে মৃতদেহ পাওয়া যায় রেল লাইনের ধার থেকে। সেখানেই আবার ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার নালিশ ওঠায় প্রশ্ন উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy