E-Paper

জাতীয় সড়কে আবার ধস, চিন্তা পুজোর মুখে

প্রশাসন সূত্রের খবর, জাতীয় সড়কের ছয় মাইল এবং আট মাইল এলাকায় রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। বিরিকধারা এলাকায় রাস্তায় ধসের সঙ্গে জল জমে যায়।

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৩০
নতুন করে আবার ধসের জেরে জলমগ্ন হয়ে বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক৷ সেলফিডারা এলাকায়।

নতুন করে আবার ধসের জেরে জলমগ্ন হয়ে বন্ধ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক৷ সেলফিডারা এলাকায়। —নিজস্ব চিত্র।

নতুন করে ধস নামায় এবং রাস্তার উপরে জল জমে যাওয়ায় বড় গাড়ির জন্য বন্ধ হয়ে গেল সিকিম, কালিম্পঙের ‘লাইফ লাইন’ বলে পরিচিত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। মঙ্গলবার সকাল থেকে সমতল, পাহাড়ে বৃষ্টি শুরু হয়। প্রশাসন সূত্রের খবর, জাতীয় সড়কের ছয় মাইল এবং আট মাইল এলাকায় রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। বিরিকধারা এলাকায় রাস্তায় ধসের সঙ্গে জল জমে যায়। একটি ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে (আনন্দবাজার সত্যতা যাচাই করেনি) ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, রাস্তায় জলে প্রায় ডুবে যাচ্ছে ছোট গাড়ি। বিকেলের পর থেকে ছোট গাড়ি চলাচল শুরু হলেও, কিছু এলাকায় বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে।

পুজোর মাসখানেক আগে, জাতীয় সড়কের এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিভিন্ন মহল। কালিম্পঙের জেলাশাসক বালসুব্রহ্মণ্যন টি বলেন, ‘‘জাতীয় সড়কের কিছু এলাকায় ক্ষতি হয়েছে। সেগুলি সংস্কারের জন্য বলা হয়েছে। বড় ভারী, পণ্যবাহী গাড়ি পুরোপুরি বন্ধ। ছোট গাড়ি চলছে। ঘুরপথেও রাস্তা খোলা রয়েছে।’’

কালিম্পং জেলা প্রশাসনের তরফে শ্বেতিঝোরা থেকে রংপো অবধি রাস্তায় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় বড় গাড়ি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে। শুধু রাজ্য পূর্ত দফতর এবং ‘ইরকন’ সংস্থার গাড়ি অনুমতিসাপেক্ষে বিভিন্ন এলাকায় চলার কথা বলা হয়েছে। এ দিন দুপুরের পর থেকেই বেশিরভাগ গাড়ি গরুবাথান, লাভায় রুট হয়ে ঘুরপথে চলাচল করছে। হাতে গোনা কিছু বাস জাতীয় সড়কে সকালের দিকে গেলেও পরে ঘুরপথে গিয়েছে। স্থানীয় চালকেরা জানাচ্ছেন, রাস্তার জায়গায় জায়গায় ধস রয়েছে। মাটি, কাদা রাস্তায় নেমে এসেছে। টানা বৃষ্টিতে জল পাহাড়ের উপর থেকে নেমে এসে রাস্তায় জমে চলাচলে বাধা তৈরি করছে। বৃষ্টির জন্য সংস্কারের কাজেও দেরি হচ্ছে।

কালিম্পঙের রাস্তার সঙ্গে কার্শিয়াঙের পরিস্থিতিও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। দুপুর থেকে কার্শিয়াং বাজার-সহ বিভিন্ন রাস্তার দিয়ে এক হাঁটু জল বইছে। পাহাড়ের উপর থেকে ঝোরার জল অবিরাম নীচে নেমে এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। নীচে বালাসন নদী ফুঁসছে। কার্শিয়াং পুর-এলাকায় জলের মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুপুরে কিছু গাড়ি দুর্ঘটনার কবলেও পড়ে। কিছু দোকানপাট, বাড়ির জিনিসপত্র জলে ভেসে গিয়েছে। সমতল শিলিগুড়িতে দুপুরে টানা বৃষ্টি হয়।

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের পাহাড় এবং পাদদেশ সংলগ্ন পাঁচ জেলায় আগামী তিন দিন বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। গৌড়বঙ্গের চলবে বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার করে বৃষ্টি। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত অধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘আগামী দু'তিন দিন এই পরিস্থিতি চলতে পারে। বাতাসের উপরিভাগে ঘূর্ণাবর্তের জন্য বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প বাংলাদেশ এবং উত্তরবঙ্গের আকাশে ঢুকছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

landslides North Bengal Natural Disaster

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy