E-Paper

নতুন করে ধস, আপাতত ‘অনিশ্চিত’ জাতীয় সড়ক

বুধবার দুপুরের পর থেকে জাতীয় সড়কের কয়েক জায়গায় ধস নামে। তাতে রাস্তা খোলা নিয়ে সমস্যা দেখা দিল। তার আগে পুলিশ, প্রশাসন এবং পূর্ত দফতরের তরফে এ দিন জাতীয় সড়কের পরিদর্শন শুরু হয়।

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪ ০৬:৫৭
১০ নম্বর জাতীয় সড়কে নতুন করে ধস।

১০ নম্বর জাতীয় সড়কে নতুন করে ধস। —নিজস্ব চিত্র।

নতুন করে ধস নামায় সিকিম, কালিম্পংগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক নতুন করে খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বুধবার দুপুরের পর থেকে জাতীয় সড়কের কয়েক জায়গায় ধস নামে। তাতে রাস্তা খোলা নিয়ে সমস্যা দেখা দিল। তার আগে পুলিশ, প্রশাসন এবং পূর্ত দফতরের তরফে এ দিন জাতীয় সড়কের পরিদর্শন শুরু হয়।

প্রথমে ঠিক হয়, অতি সাবধানে এক লেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জাতীয় সড়ক একমাত্র ছোট গাড়ির জন্য খুলতে পারে। এ ভাবে এক লেন দিয়ে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে রাস্তা চালু করা যাওয়ার আলোচনার মধ্যেই নতুন করে ধস নামে। সেই সঙ্গে সেলফিডারা এবং বিরিকডারার পরিস্থিতিও ভাল নয়। মেল্লির দিকেও রাস্তায় ফাটল রয়েছে।

কালিম্পঙের জেলাশাসক বালসুব্রহ্মণ্যন টি বলেন, ‘‘আগামী ২-৩ দিন পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। বৃহস্পতিবার নতুন করে রাস্তা খোলা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছিল, তবে নতুন ধসের জেরে তা আর হচ্ছে না।’’ উল্লেখ্য, গত ৩ জুলাই থেকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক সরকারি ভাবে পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। লাভা, আলাগাড়া, গরুবাথান হয়ে ঘুরপথে গাড়ি চলাচল করছে।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমসিংহ তামাং ও দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা। দু’জনেই এই জাতীয় সড়কটি কেন্দ্রের হাতে তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর সঙ্গে। আর বিজেপি সাংসদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন। দু’জনেই জাতীয় সড়কটির আমূল ভোলবদলের জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ে কেন্দ্রের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাজেটে জাতীয় সড়কটির কোনও উল্লেখ করা হয়নি।

তাতে পাহাড়ের শাসক দল প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার তরফে সাংসদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। জিটিএ-র মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শক্তিপ্রসাদ শর্মা বলেন, ‘‘উনি তো সিকিমের প্রতিনিধিদের নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করছেন বলে দেখছি। অথচ এই রাস্তা, তিস্তার জন্য কোনও বরাদ্দ নেই। উনি দার্জিলিং না সিকিমের সাংসদ বোঝা যাচ্ছে না।’’

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সিকিম এবং কালিম্পঙের লাইফলাইন বলে পরিচিত জাতীয় সড়কটি কয়েক বছর আগে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন (বিআরও) দেখভাল করত। পরে দুই রাজ্যকে কেন্দ্রকের তরফে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। দুই রাজ্যের পূর্ত দফতর সড়কটি দেখভাল করে। সাংসদ রাজু বিস্তা অবশ্য দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার সব পরিস্থিতির কথাই জানে। সঠিক সময় সরকার ব্যবস্থা নেবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

landslides sikkim National Highway 10

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy