উন্নয়নের কৃতিত্ব কার!
এ নিয়েই পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে মালদহে কংগ্রেস ও তৃণমূলের তরজা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। তরজার জেরে সম্প্রতি মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে পুরাতন মালদহ ব্লকে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার একটি রাস্তার দুবার শিলান্যাস হয়েছে। প্রথমবার করেছিলেন জেলা পরিষদের তৃণমূলের সভাধিপতি। পরে করেন কংগ্রেসের সাংসদ।
রবিবার চাঁচল ২ ব্লকে কংগ্রেসের সাংসদ মৌসম নুরের হাত ধরে একটি প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা ও একটি সেতুর শিলান্যাস সেই তরজাই উস্কে দিল। কেননা, জেলা পরিষদের তৃণমূল বোর্ডও আগামী সপ্তাহেই ওই একই রাস্তা ও সেতুর কাজের শিলান্যাস করতে চলেছে।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় মালদহ জেলায় পাঁচটি রাস্তা তৈরির অনুমোদন মিলেছে। রাস্তাগুলি পুরাতন মালদহ ব্লকের আট মাইল থেকে আন্ধারকাটা ও নারিয়ালি থেকে ধরমপুর, চাঁচল ২ ব্লকে এনায়েতনগর থেকে মাধাইহাট, রতুয়া ২ ব্লকে পর্ব বলরামপুর থেকে ইলাহাবাদ এবং কালিয়াচক ১ ব্লকের জালালপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে মদনপুর কিসামত পর্যন্ত। এর মধ্যে আট মাইল থেকে আন্ধারকাটা রাস্তাটি জেলা পরিষদ ও সাংসদ দু’পক্ষই শিলান্যাস করেছে।
এ দিন চাঁচল ২ ব্লকের এনায়েতনগর থেকে মাধাইহাট পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার রাস্তাটির শিলান্যাস করেন মৌসম। তিনি এ দিন পুলবান্ধায় রতুয়া ১ ব্লকের দেবীপুর ও চাঁচল ২ ব্লকের ধানগাড়া বিষমপুরের মধ্যে সংযোগকারী মরা মহানন্দা নদীর উপরে প্রস্তাবিত সেতুরও শিলান্যাস করেন। তৃণমূলের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তাগুলি তৈরির সমীক্ষা, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রস্তাব দেওয়া থেকে শুরু করে কাজ তদারকি জেলা পরিষদের মাধ্যমে হয়। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের দুর্গেশ সরকার দাবি করেন, ‘‘আমাদের বোর্ডের কাজের শিলান্যাস আমরাই করব। মানুষকে দেখাতে আমাদের কাজ হাইজ্যাক করছে কংগ্রেস।’’
কংগ্রেসের বক্তব্য, জেলা পরিষদে ক্ষমতায় থাকার সময় এই সব রাস্তা ও সেতুর প্রস্তাব পাঠানো থেকে ও অনুমোদনের তদারকি তাঁরাই করেছেন। জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের রেহেনা পারভিন বলেন, ‘‘এখন বোর্ড বদলে গেলেও এ সব উন্নয়নের কৃতিত্ব আমাদেরই।’’