দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে হেমতাবাদ ব্লকের নওদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি মাজিদুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। বুধবার বিকালে হেমতাবাদের দলীয় কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক ডাকেন হেমতাবাদ ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রফুল্ল বর্মন। এরপর মাজিদুর রহমানকে ছয় বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন। মাজিদুর উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় দত্তের গোষ্ঠীর অনুগামী বলে পরিচিত।
প্রফুল্লবাবু সহ এ দিনের বৈঠকে হাজির হয়ে যে ১৫ জন নেতা মাজিদুরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা সকলেই জেলা তৃণমূল সভাপতি অমল আচার্যের অনুগামী বলে পরিচিত। গত সেপ্টেম্বর মাসে মৃত্যুঞ্জয়বাবুকে দলের হেমতাবাদ ব্লক সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে সদ্য সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানকারী প্রফুল্লবাবুকে ওই পদের দায়িত্ব দেন অমলবাবু।
প্রফুল্লবাবুর দাবি, মাজিদুর ব্লক কমিটির অনুমতি না নিয়েই গত ১৩ নভেম্বর তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতা ও অনুগামীদের নিয়ে দুঃস্থদের কম্বল বিলির অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে সভা ডেকে দলবিরোধী কাজ করেছেন। তাঁকে কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠানো হলেও প্রত্যাখান করেন। তাই দলের জেলা সভাপতির পরামর্শ নিয়ে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল।
মাজিদুরকে দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা হতেই আসরে নামেন মৃত্যুঞ্জয়বাবু। এ দিন সন্ধ্যায় তিনি দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ও রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষের কাছে প্রফুল্লবাবুর বিরুদ্ধে পাল্টা দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ জানিয়েছেন।
দলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষের দাবি, রাজ্য নেতৃত্বের অনুমোদন ছাড়া জেলায় দলের কোনও কমিটি কাউকে বহিষ্কার বা পদ দিতে পারবে না বলে রাজ্য কমিটির স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। তাই কোনও নেতা মাজিদুরকে দল থেকে বহিষ্কার করার কথা ঘোষণা করে থাকলে, তিনি দলবিরোধী কাজ করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy