মাটিগাড়া ব্লকের আঠারোখাই গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্য সমীরণ ঘোষ যোগ দিলেন তৃণমূলে। তারপরেই ওই পঞ্চায়েত দখল করার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে তৃণমূল। রবিবার সমীরণের দলবদলের পরে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী গৌতম দেব জানান, শীঘ্রই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনবে তৃণমূল। কংগ্রেসের ওই সদস্য এ দিন সকালে গৌতমবাবুর বাড়ির অফিসে গিয়ে তাঁর হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন।
এখন পঞ্চায়েতে তৃণমূলের দিকে রয়েছেন ১৫ জন। আর সিপিএমে ১১ এবং কংগ্রেসের ৩ জন মিলিয়ে মোট ১৪ জন। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, আঠারোখাই পঞ্চায়েত দখল নেওয়া এখন কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা। ২০১৫-তে মহকুমা পরিষদের নির্বাচনে ওই পঞ্চায়েত সিপিএমের দখলে যায়। সিপিএম পায় ১৬টি আসন। তৃণমূল ৭টি, কংগ্রেস ৬টি এবং বিজেপি ১টি আসন পেয়েছিল। পরে তৃণমূলের এক সদস্য সদস্য মারা যান। কিন্তু শেষ তিন বছরে বিজেপির ১ জন, কংগ্রেসের ২ জন এবং সিপিএম থেকে ৫ জন মিলিয়ে মোট ৮ জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। রবিবার সমীরণও তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় আস্থাভোট চাওয়ার রাস্তা খুলে গেল তৃণমূলের কাছে। গত ৩৫ বছর ধরে এই পঞ্চায়েত সিপিএমের দখলেই থেকেছে।
আঠারোখাইয়ের পঞ্চায়েত সদস্য সমীরণ ঘোষের কথায়, ‘‘উন্নয়নের কাজ করতে পারছিলাম না। সিপিএমের বোর্ড কিছুই উন্নতি করতে পারছিল না। অথচ সাধারণ মানুষের রাস্তা, পানীয় জল, নিকাশি, আলোর মতো জরুরি এবং ন্যূনতম পরিষেবাগুলি একান্ত প্রয়োজন।’’ কংগ্রেসের মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি এলাকার প্রাক্তন যুব নেতা সমীরণ ঘোষের দাবি, দীর্ঘ দিন থেকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা এসে পড়ে রয়েছে অথচ উন্নয়নের কাজ এতটুকু এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছে না সিপিএম। কাজের ধারা অব্যাহত রাখতেই তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করেন।
তবে দার্জিলিং (সমতল) জেলা কংগ্রেসের তরফে এই দলবদলকে কটাক্ষ করা হয়েছে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা স্থানীয় বিধায়ক শঙ্কর মালাকার বলেন, ‘‘সমীরণবাবু নামেই কংগ্রেসে ছিল। আদতে তৃণমূলের সঙ্গে মিশেই ছিল। তিনি ব্যক্তিগত স্বার্থেই এ বার পুরোপুরি তৃণমূল হয়েছেন। সাধারণ মানুষের কাজের জন্য নয়। দলে প্রভাব পড়বে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy