—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
লোকসভা ভোটে জোট না হলেও মালদহের একটি সমবায় সমিতির ভোটে জোট বেঁধে লড়ল কংগ্রেস এবং তৃণমূল। শুধু জোট বেঁধে লড়াই করাই নয়, দুই দলের প্রার্থীরা হারিয়ে দিলেন বাম প্রার্থীদের। ভোটের ফল প্রকাশ্যে আসার পর তৃণমূলের বক্তব্য, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তৈরি করেছেন। তা হলে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে অসুবিধা কোথায়? আর অস্বস্তিতে পড়া সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, স্থানীয় স্তরে এমন জোট হয়েছে। এই ঘটনা বৃহত্তর ক্ষেত্রে রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোটের ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলে দাবি তাঁদের।
দীর্ঘ দিন নির্বাচন হয়নি মালদহের উত্তর চণ্ডীপুর গ্রামের এসকেইউএস সমবায় সমিতিতে। এই নিয়ে হাই কোর্টে মামলা হয়। আদালতের নির্দেশে রবিবার নির্বাচন হয় মানিকচক ব্লকের এই সমবায় সমিতিতে। এই সমবায় সমিতিতে মোট ছ’টি আসন রয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন মোট ১৩ জন প্রার্থী। নিজেদের মধ্যে আসন সমঝোতা করে চারটি আসনে প্রার্থী দেয় তৃণমূল। আর কংগ্রেস প্রার্থী দেয় দু’টিতে। অন্য দিকে, বামফ্রন্ট পাঁচটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। আর একটি আসনে তারা নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করে।
ভোটের ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় ছ’টি আসনেই জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের প্রার্থীরা। এই প্রসঙ্গে এলাকার বাম নেতা দেবজ্যোতি সিংহ বলেন, “দলীয় প্রতীকে সমবায় নির্বাচন হয় না। শেয়ার হোল্ডাররা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এতে কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের যে জোট, তাতে কোনও প্রভাব পড়বে না। একা লড়লেও ৩৫ শতাংশ ভোট পেয়েছি আমরা। এলাকার তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রে বিরোধী জোট গড়েছেন। কংগ্রেস-তৃণমূল জোট বেঁধে লড়লে অসুবিধা কোথায়? কোনও অসুবিধা নেই।” প্রসঙ্গত, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’য় কংগ্রেস, তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে সিপিএম, সিপিআইয়ের মতো বাম দলগুলিও। জেলার রাজনৈতিক মহলের একাংশ রসিকতা করে বলছেন, সমবায় ভোটে দুই শরিক হাত মিলিয়ে হারিয়ে দিল আর এক শরিককে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy