Advertisement
E-Paper

২০টি এলাকায় কন্টেনমেন্ট

শনিবার জেলাশাসকের দফতরে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় কোচবিহার কোভিড টাস্ক ফোর্সের বৈঠক হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২০ ০৭:৫৬
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

জেলার ৩২ জন বাসিন্দার করোনা সংক্রমণের জেরে অন্তত ২০টি এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জোন করার সিদ্ধান্ত নিল কোচবিহার প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রেই খবর, ওই বাসিন্দাদের মধ্যে ৩১ জন দিনহাটা মহকুমার বাসিন্দা। একজনের বাড়ি তুফানগঞ্জ মহকুমা এলাকায়। সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর আক্রান্তদের বাড়ি ও সংলগ্ন এলাকা দুই সপ্তাহের জন্য কন্টেনমেন্ট জোন করা হচ্ছে।

শনিবার জেলাশাসকের দফতরে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় কোচবিহার কোভিড টাস্ক ফোর্সের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে কন্টেনমেন্ট জোন এলাকার বাড়িতে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিতে বাস্কেট দেওয়া, সংক্রমিতদের বাড়িতে বয়স্ক কেউ থাকলে পৃথক জায়গায় রাখার আলোচনাও হয়েছে। কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বলেন, “সতর্কতামূলক সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ২০-২৫টি এলাকা দুই সপ্তাহের জন্য কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।” করোনা পজিটিভ ৩২ জন বাসিন্দার সংস্পর্শে কারা এসেছেন, সেই তালিকা তৈরিতে নেমেছে স্বাস্থ্য দফতর। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের প্রত্যেককেই ইতিমধ্যে শিলিগুড়ির কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের সংস্পর্শে আসা সকলকেই চিহ্নিত করার কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে সরাসরি সংস্পর্শে এসেছিলেন এমন বাসিন্দাদের তালিকা তৈরিও হয়ে গিয়েছে। চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হলে সংস্পর্শে আসা বাসিন্দার সংখ্যা দেড় শতাধিক হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। কোচবিহারের মুখ্য সবাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, “ওই কাজ চলছে।”

এদিকে, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের মতো জেলা থেকে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় কোভিড হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের পাঠানোয় রোগীর ভিড় বেড়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে ছিল ২০ জন। শনিবারের মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫২ জন। কোচবিহার থেকে ৩২ জনকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে অতিরিক্ত চিকিৎসক, নার্স পাঠাতে হচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর তথা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। অন্য জেলা থেকে এখনও কেন এখানে রোগী পাঠানো হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সমস্যা জটিল হতে পারে বলে জানিয়েছেন দার্জিলিং জেলাপ্রশাসন, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। উত্তরবঙ্গে করোনা মোকাবিলার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক সুশান্ত রায় তা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি দিয়েছেন।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চিঠিতে বিশেষ দায়িত্বে থাকা আধিকারিক এই পরিস্থিতির জন্য কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে এখনও কোভিড হাসপাতালের পরিকাঠামো প্রস্তুত না-করাকে দায়ী করেছেন। তিনি জানিয়েছেন ওই দুই জেলাকে আগেই পরিকাঠামো প্রস্তুতের জন্য বলা হয়েছিল। তা না-হওয়ায় ফের তাদের দ্রুততার সঙ্গে কোভিড হাসপাতালের পরিকাঠামো প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy