E-Paper

পুলিশের কালীপুজোয় উচ্চস্বরে মাইক, বিতর্ক

প্রবল শব্দে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে রাতে দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত ওই অনুষ্ঠান চলে। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সামাজ মাধ্যমে পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:১৫
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কালীপুজোয় বাজি পাঠানো বা উচ্চস্বরে মাইক বাজানো বন্ধ করতে তারা নিজেরা যথেষ্ট তৎপর বলে দাবি করেছিল পুলিশ। এ বার সেই পুলিশেরই উদ্যোগে আয়োজিত কালীপুজোর অনুষ্ঠান ঘিরে উঠল একই অভিযোগ। বুধবার কোচবিহারে কোতোয়ালি থানা ও থানাপাড়া কালীপুজো কমিটির উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যে থেকেই ওই অনুষ্ঠান শুরু হয়। পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে শাসক দলের একাধিক নেতাও ওই অনুষ্ঠানে দেখা যায়। অভিযোগ, প্রবল শব্দে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে রাতে দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত ওই অনুষ্ঠান চলে। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সামাজ মাধ্যমে পুলিশের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতারা।

ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার কোতোয়ালি থানার আইসি তপন পাল। কোতোয়ালি থানার পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই ওই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। উচ্চস্বরে মাইক বাজানোর অভিযোগ ঠিক নয়। বিজেপির কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে অবশ্য বলেন, ‘‘পুলিশের আয়োজনে দীর্ঘরাত পর্যন্ত উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে ওই অনুষ্ঠান চলেছে। এই সময়ে কোনও নিয়ম বা আইন ভঙ্গ হচ্ছে না? পুলিশ কোনও ব্যবস্থাও নিচ্ছে না। অথচ সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে আইন দেখিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে। কালীপুজোয় বাজি পোড়াতে গিয়ে কী ঘটেছে সবাই তা জানে।’’ বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী অর্পিতা নারায়ণ ওই অনুষ্ঠানের একটি ছোট্ট ভিডিয়ো ফেসুবকে পোষ্ট করে লিখেছেন, ‘‘দেখুন পুলিশের পরিস্থিতি! সাধারণ মানুষ ও ছোট ছোট বাচ্চারা যখন কালীপুজোয় আতসবাজি ফাটায়, তখন তাদের দোষ হয়। আর রাত ১২ টায় কী ভাবে ডিজে বাজিয়ে নাচছে পুলিশ প্রশাসন, এখন কোথায় গেল তাদের পরিবেশ প্রেম? এটাই পশ্চিমবঙ্গ।’’

কালীপুজোর রাতে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্যের বাংলোর সামনে গভীর রাতে বাজি পোড়ানো নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। সেখানে পুলিশ সুপারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নও ওঠে। সে প্রসঙ্গ তুলেই পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতারা। তৃণমূলের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘আমি ঠিক জানি না, কত রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলেছে। তবে কালীপুজোয় নানা জায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠান চালাতে গিয়ে সময়ের কিছু হেরফের হয়। তবে যদি শব্দ নিয়ন্ত্রণে রেখে অনুষ্ঠান হয়, তা হলে বিতর্কের কিছু নেই।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Cooch Behar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy