অনুষ্ঠান: উদ্বোধন হচ্ছে স্টেডিয়ামের । নিজস্ব চিত্র
১৩টির মধ্যে তৈরি হয়েছে মাত্র ৪টি গ্যালারি। কবে বাকি গ্যালারিগুলো তৈরি হয়ে স্টেডিয়াম চালু হবে তা প্রশাসনেরও অজানা। কিন্তু অর্ধসমাপ্ত ওই স্টেডিয়ামের উদ্বোধনকে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে মালদহের চাঁচলে। রবিবার বিকেলে প্রস্তাবিত চাঁচল স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করেন উত্তর মালদহের সাংসদ মৌসম নুর। হাজির ছিলেন চাঁচল ও মালতীপুরের দুই কংগ্রেসী বিধায়ক আসিফ মেহবুব ও আলবেরুনী জুলকারনাইন।
কিন্তু ক্রীড়াপ্রেমীদের পাশাপাশি মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি তথা মহকুমাশাসককেও অন্ধকারে রেখে অর্ধসমাপ্ত স্টেডিয়াম উদ্বোধনকে ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে। দলীয় অনুষ্ঠান করে সরকারি জমিতে নির্মীয়মাণ স্টেডিয়ামের উদ্বোধন আসলে কংগ্রেসের ভোটের রাজনীতি বলে কটাক্ষ তৃণমূলের। ঘটনার জেরে বিস্মিত প্রশাসনও।
চাঁচলের মহকুমাশাসক দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই বিষয়ে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। ফলে আমার কিছু বলারও নেই।’’
২০০৮-এ রায়গঞ্জের প্রয়াত সাংসদ প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি চাঁচল স্টেডিয়াম তৈরির উদ্যোগ নেন।
৩ হাজার আসন বিশিষ্ট স্টেডিয়ামের সামনে মার্কেট কমপ্লেক্স, ক্লাব হাউস, প্রেস কর্নার, মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার অফিসঘর তৈরি হওয়ার কথা। শিলান্যাসের দিনই বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে ১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা তাঁর উদ্যোগেই সংগৃহীত হয়। তিনি অসুস্থ হওয়ার পর থমকে যায় কাজ। পরে সাংসদ মৌসমের উন্নয়ন তহবিলের পাশাপাশি জেলা পরিষদের তরফেও অর্থ বরাদ্দ করা হয়। তারপরেও স্টেডিয়ামের কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। এছাড়া নির্মাণকাজ চলার জেরে স্টেডিয়ামের মাঠটির অবস্থাও খুবই বেহাল।
তারপরেও রবিবার স্টেডিয়ামের উদ্বোধন হওয়ায় বিস্ময় তৈরি হয়েছে। উদ্বোধনের আগে প্রয়াত প্রাক্তন সাংসদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। তাঁর স্বপ্নের একটি ধাপ পূরণ হল বলে ফলকেও উল্লেখ রয়েছে। সম্পূর্ণ না হয়ে কী ভাবে প্রিয়বাবুর স্বপ্ন পূরণ হল প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও।
চাঁচলের ক্রিকেট প্রশিক্ষক রাজেশ দাস বলেন, ‘‘অসম্পূর্ণ স্টেডিয়াম কেন তড়িঘড়ি উদ্বোধন করা হল তা ভেবে অবাক লাগছে।’’ ক্রীড়াপ্রেমী স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘স্টেডিয়ামের যে উদ্বোধন হল সেটাই তো জানি না।’’
যদিও স্টেডিয়াম তৈরির বিষয়টিকে কংগ্রেসের উদ্যোগ জানিয়ে সাংসদ মৌসম নুরের দাবি, ‘‘কংগ্রেস স্টেডিয়ামের কাজ শুরু করেছিল। কংগ্রেসই শেষ করবে। বিভিন্ন মহলে অর্থ চেয়ে আবেদন করেছি। সাংসদ তহবিল থেকেও বরাদ্দ করব। ফলে কংগ্রেস উদ্বোধন করে বেঠিক কিছু কাজ করেনি।’’
যদিও এই উদ্বোধনকে আক্রমণ করেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘এসব ভোটের রাজনীতি। মানুষ সব দেখছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy