ষষ্ঠীর বিশেষ জামাই গোলা।
পেল্লাই ‘জামাই গোল্লা’ মাত করছে কোচবিহারের জামাইষষ্ঠীর মিষ্টির বাজার। একেকটি মিষ্টির দাম ৫০ টাকা। জামাইদের চমকে দিতে অনেক শ্বশুরবাড়িতেই এবার কদর রসে টইটম্বুর জামাই গোল্লার। সঙ্গে অবশ্য পাল্লা দিচ্ছে বাদশা ভোগ, ল্যাংচা, রসকদম, আম সন্দেশ, মোহন ভোগ ও ছানার লাড্ডু।
মিষ্টি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কোচবিহারে বরাবর নানা স্বাদের মিষ্টির ভাল চাহিদা রয়েছে। বিশেষ তিথি বা অনুষ্ঠানে ওই চাহিদা বেড়ে যায় আরও কয়েকগুণ। সে কথা মাথায় রেখেই ব্যবসায়ীরা অভিনবত্ব আনার চেষ্টা করেন। এ বারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বাজারে এসেছে জামাই স্পেশাল ‘জামাই গোল্লা’। পেল্লাই আকারের ওই রসগোল্লার ওজন প্রায় দু’শো গ্রাম। দোকানে প্লাস্টিকের বাটিতে রকমারি স্বাদের রসে থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ওই মিষ্টি। নজর কাড়তে রসে ডোবানো ওই মিষ্টির উপরে বসানো হয়েছে লাল চেরি। চার দিকে বাদাম, পেস্তার গুঁড়ো। খানিকটা মালাই চপের মতো দেখতে হলেও স্বাদে একেবারে ভিন্ন। অন্তত তেমনই দাবি বিক্রেতাদের।
তাঁদের এক জন জানাচ্ছেন, সাধারণ চিনির রস, কড়া পাকের রস, কেশর রসে ডোবানো জামাই গোল্লা মিলছে। ক্রেতাদের যেমন পছন্দ সেটাই বেছে নিচ্ছেন তাঁরা। দামের ফারাক নেই বলে অনেকে আবার তিন বেলার জন্য তিন স্বাদের জামাই গোল্লাও নিচ্ছেন। তবে সেই সংখ্যাটা হাতেগোনা। অন্য অনেকেই বলছেন, একটিই ভাল।
কী দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই স্পেশাল ‘জামাই গোল্লা’? কারিগররা জানাচ্ছেন, মূল উপকরণ তিনটে। ছানা, সামান্য ময়দা আর চিনি। অন্য সব সামগ্রীগুলি সেটি সাজানোর জন্য। কোচবিহারের বাবুরহাট এলাকার এক মিষ্টি বিক্রেতা গণেশ মোদক বলেন, “মালদহ থেকে কারিগরদের এনে এবার জামাই বাবাজিদের রুচি বদলে জামাই গোল্লা তৈরি করা হয়েছে। দাম খানিকটা বেশি মনে হলেও খরচাও ভাল। চাহিদাও ভাল রয়েছে।”
বিক্রেতারাই জানাচ্ছেন, চির চেনা রসগোল্লা মিলছে ৫ থেকে ১০ টাকায়। বাদশা ভোগ, ল্যাংচা , ছানার লাড্ডু , টু-ইন-ওয়ান গোল্লা, রসকদম, মোহন ভোগ, আম সন্দেশের দামও প্রতি পিস ৮-২০ টাকার মধ্যে। চাহিদাও ভাল। মহাক্ষীর দই বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ টাকা দরে। কোচবিহার জেলা মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির কর্তা সমীর ঘোষ বলেন, “জামাইষষ্ঠীর বাজারে মিষ্টির ভাল চাহিদা রয়েছে। নতুন, পুরনো রকমারি মিষ্টিই কিনছেন ক্রেতারা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy