Advertisement
E-Paper

কাচ ভেঙে পলিয়ে গেলেন রোগী

জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নষ্কর বলেন, “একজন রোগী স্যালাইন ঝোলানোর লোহার রড দিয়ে জানালার কাচ ভেঙে পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে পুলিশ তাঁকে বুঝিয়ে ফিরিয়ে আনে।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২০ ০৫:১৭
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

‘ও স্যর, এই যাব আর চলে আসব,’ হাত কচলে, সুর নরম করে বেশ কয়েকবার আবেদন করেছেন রোগী। সে আবেদন শোনেনি ‘স্যর, ম্যাডাম’রা। যে সে হাসপাতাল তো নয়, ‘সারি’ বলে কথা। এখানে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে রোগীদের রাখা হয়। তাঁদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্টে সংক্রমণ ধরা পড়লে কোভিড হাসপাতালে, নয়তো পাঠাতে হয় বাড়িতে। বুধবার সকাল থেকে জলপাইগুড়ির বিশ্ববাংলা ‘সারি’তে যে রোগী বেরনোর আবেদন করছিলেন, তাঁর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসেনি। কাজেই বাইরে যেতে দেওয়ার প্রশ্নই নেই, জানিয়েছিলেন কর্মীরা। রোগীও নাছোড়। হাসপাতালের কর্মীদের দাবি, ওই রোগী দাবি করেন যে তিনি মদ্যপানে আসক্ত। মদ না পেয়ে শরীর বেশি অসুস্থ হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। তাতেও কাজ না হওয়ায় হাসপাতালের কাচের জানালা ভেঙে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য পুলিশ ধরে ফের হাসপাতালে ভর্তি করায়।

জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের সুপার গয়ারাম নষ্কর বলেন, “একজন রোগী স্যালাইন ঝোলানোর লোহার রড দিয়ে জানালার কাচ ভেঙে পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে পুলিশ তাঁকে বুঝিয়ে ফিরিয়ে আনে।”

বুধবার সকাল থেকে সারি হাসপাতালে এই গোলমালের সূত্রপাত। এ দিন বেলা সাড়ে ১০টার পর হাসপাতাল থেকে বেরনোর চেষ্টা করেন ওই যুবক। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাধা দিলে কাজ হয়নি। নিরাপত্তা রক্ষীদের ডাকা হয়। তাঁদের কথাও মানছেন না দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ততক্ষণে ওই যুবক ভাঙচুর শুরু করেন হাসপাতালে, পালিয়েও যায়। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে ধরে আনে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি শহরেরই বাসিন্দা ওই রোগী। সকালে গোলমাল চলাকালীন তাঁর বাড়িতেও ফোন করা হয়েছিল বলে স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবি। স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবি, বাড়িতে ফোন করে জানানো হলে পরিবারের লোকেরা জানান তাঁরাও বাড়িতে ঢুকতে দেবেন না। পুলিশ যেন ব্যবস্থা নেয়, জানায় বাড়ির লোক। সূত্রের খবর, হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছেন তাঁকে। পরে একটি জায়গায় তাঁকে বসে থাকতে দেখা যায়। পরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে।

Coronavirus Jalpaiguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy