Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in North Bengal

করোনার কোপে আরও ৫

প্রশাসন সূত্রে খবর,  এদের মধ্যে চোপড়ার চার যুবক হরিয়ানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। তাদের বয়স ২০ থেকে ২৬ বছর।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চোপড়া ও চাকুলিয়া শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২০ ০৪:৫৬
Share: Save:

ভিনরাজ্য ফেরত পাঁচ শ্রমিকের লালারসে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ও চাকুলিয়ায়। বৃহস্পতিবার রাতে এই রিপোর্ট পেয়েই শুক্রবার তাঁদের জেলার কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরে হোম কোয়রান্টিনে থাকায় তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তাঁদের সংস্পর্শে আর কারা এসেছেন, তা নিয়েও খোঁজ নিচ্ছে প্রশাসন। এলাকাটিকেও কন্টেনমেন্ট জ়োন করা হচ্ছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, ‘‘পাঁচ জনেরই চিকিৎসা চলছে।’’

প্রশাসন সূত্রে খবর, এদের মধ্যে চোপড়ার চার যুবক হরিয়ানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। তাদের বয়স ২০ থেকে ২৬ বছর। তাঁদের তিনজনের বাড়ি ঘিরনিগাঁও পঞ্চায়েতের মৌলানিগছ, আসারুবস্তি ও আমতলায়। অপর একজনের বাড়ি চোপড়ার দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শেখ বস্তিতে। ১১ মে হরিয়ানা থেকে ফিরে তাঁরা চোপড়ার কমলা পাল স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের কোয়রান্টিন সেন্টারে ছিলেন। লালারস সংগ্রহ করে ১৭ মে তাঁদের হোম কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনের তাঁদের রিপোর্ট আসে। প্রশাসন জানায়, তারপরই দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়। কী করা হবে, তা নিয়ে চোপড়া ব্লক প্রশাসন, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ও চোপড়া থানার আইসি বৈঠক করেছেন বলে খবর। ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সচিন মক্কার বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতর দেখছে। ওরা যেভাবে বলবে, সেই ভাবেই কাজ করা হবে।’’

অপরদিকে, চাকুলিয়ার নিজামপুর ২ পঞ্চায়েতেরও এক যুবকের করোনা আক্রান্ত বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। দিন কয়েক ওই যুবক ভিন্রাজ্য থেকে রাজ্যে ফেরেন। তিনি স্থানীয় একটি সরকারি কোয়ারান্টিন শিবিরে ছিলেন। সেখান তাঁর লালারস সংগ্রহ করে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এর পর ওই যুবককে হোম কোয়ারান্টিন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। পজ়িটিভ রিপোর্ট আসায় শুক্রবার সকালে তাঁকেও রায়গঞ্জ কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকা সিল করা হয়েছে। আক্রান্ত যুবকের পরিবারকেও ১৪ দিন হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। গোয়ালপোখর ২ ব্লকের বিডিও কানাইয়াকুমার রায় জানিয়েছেন, নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তাঁদের সংস্পর্শে আসে প্রত্যেকের খোঁজ চালানো হচ্ছে।

ইসলামপুরের মহকুমাশাসক খুরশিদ আলম জানান, স্বাস্থ্য দফতরের পরামর্শে কাজ করা হচ্ছে।

এ নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘ওঁদের শরীরে বাহ্যিক কোনও উপসর্গ ছিল না বলেই তাঁদের হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছি। এখন প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in North Bengal Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE