Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in North Bengal

করোনা বা ডেঙ্গি, ভরসা উপগ্রহচিত্র

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, জেলায় করোনা সংক্রমণ রুখতে শুরু থেকেই বিভিন্ন পদক্ষেপ করছেন আলিপুরদুয়ারের স্বাস্থ্য কর্তারা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

পার্থ চক্রবর্তী
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২০ ০৬:৪৯
Share: Save:

শুধু মাঠে-ময়দানে নেমে কাজই নয়। করোনা মোকাবিলায় এ বার প্রযুক্তিকেও হাতিয়ার করল আলিপুরদুয়ার স্বাস্থ্য দফতর। জেলায় কোন এলাকায় করোনায় আক্রান্তের হার বেশি, কোথায় বেশি সংখ্যায় পরিযায়ী শ্রমিক ফিরছেন, সেই সব এলাকায় অন্য বাড়িঘরের অবস্থানই বা কী— গুগল আর্থের সাহায্যে এই তথ্য জেনে দফতরে বসেই করোনা মোকাবিলায় পরিকল্পনা নিচ্ছেন জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা। একই ভাবে জেলায় ডেঙ্গি মোকাবিলায় গুগল আর্থের সাহায্য নিচ্ছেন তাঁরা।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, জেলায় করোনা সংক্রমণ রুখতে শুরু থেকেই বিভিন্ন পদক্ষেপ করছেন আলিপুরদুয়ারের স্বাস্থ্য কর্তারা। যেগুলির অন্যতম ছিল, বাইরে থেকে কেউ জেলায় এলে ১৪ দিন তাঁকে সরকারি কোয়রান্টিন সেন্টারে রাখা। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের তরফে নানা সময়ে বিভিন্ন নির্দেশ জারি করা হলেও, আলিপুরদুয়ারের স্বাস্থ্যকর্তারা এই পন্থা অবলম্বন করেই কাজ চালাচ্ছিলেন। কিন্তু কিছু দিন আগে সরকারের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, দেশের ঝুঁকিপূর্ণ পাঁচটি রাজ্য বাদে অন্য যে কোনও জায়গা থেকে আসা কাউকেই আর সরকারি কোয়রান্টিন সেন্টারে রাখা হবে না। তাঁদের রাখতে হবে হোম কোয়রান্টিনে।

গত মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই ভিন্ রাজ্যে আটকে থাকা আলিপুরদুয়ারের পরিযায়ী শ্রমিকদের জেলায় ফেরার সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। ফলে বাড়তে শুরু করে করোনা সংক্রমণও। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে এমন অনেককেই পাওয়া যায়, যাঁরা ঝুঁকিপূর্ণ ওই পাঁচটি রাজ্যের বদলে দেশের অন্য প্রান্ত থেকে জেলায় এসেছেন। এই অবস্থায় জেলায় করোনা সংক্রমণ আটকাতে প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা। তাঁদের একাংশের কথায়, তাঁদের স্বাস্থ্য কর্মীরা মাঠে-ময়দানে নেমে তো কাজ করছেনই। সেই সঙ্গে বিভিন্ন এলাকা থেকে নিয়মিত রিপোর্টও তাঁরা স্বাস্থ্য দফতরে পাঠাচ্ছেন। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্তারা গুগল আর্থের উপগ্রহ চিত্রের সাহায্যও নিচ্ছেন।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, একই ভাবে জেলায় ডেঙ্গি মোকাবিলাতেও গুগল আর্থের সাহায্য নিচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। এ ক্ষেত্রে আক্রান্তদের বাড়ির কাছে জলাভূমি রয়েছে কিনা কিংবা জল জমে থাকার সম্ভবনা রয়েছে কিনা, সেই সব তথ্য জানছেন তাঁরা। তার পর সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিচ্ছেন। আলিপুরদুয়ারের উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘জেলায় করোনা ও ডেঙ্গি রুখতেই আমরা প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছি। আশা করি এতে করে ফল ভাল হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in North Bengal Alipurduar Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE