অদম্য: শহরের পথে একদল শ্রমিক। শুক্রবার আলিপুরদুয়ারে। ছবি: নারায়ণ দে
ছ’টি রাজ্য থেকে জলপাইগুড়িতে ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। চাপ সামলাতে আগে থেকে সব ব্লককে সর্তক করল জেলা প্রশাসন। বিধি অনুযায়ী ভিন্্ রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের ১৪ দিন সরকারি কোয়রান্টিনে রাখার কথা। সে নিয়ম আপাতত কিছুটা কাটছাঁট করা হচ্ছে। সরকারি কোয়রান্টিনে ঢোকার পরে ষষ্ঠ দিনে শ্রমিকদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। দু’দিনের মধ্যে রিপোর্ট চলে এলে এবং সংক্রমণ ধরা না পড়লে শ্রমিকদের বাড়িতে পাঠিয়ে সেখানেই কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর।
প্রশাসনের দাবি, এরমধ্যে রাজস্থানের কোটা থেকে ফেরা ৮৮ জন পড়ুয়ার লালারসের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। পড়ুয়াদের কারও সংক্রমণ ধরা পড়েনি। পড়ুয়াদের নিয়ে দুশ্চিন্তা দূর হওয়ার পরে প্রশাসনের আপাতত ভাবনা ভিন্্ রাজ্যের শ্রমিকেরা।
আগামী কাল অথবা পরশু থেকে ভিন্্ রাজ্যের শ্রমিকেরা ফিরতে শুরু করবে বলে খবর। অসম, বিহার, সিকিম, ঝাড়খণ্ড-সহ আশপাশের রাজ্যগুলি থেকেই শ্রমিকেরা প্রথমে ফিরবেন। শুক্রবার জেলার সব ব্লকের বিডিওদের জানানো হয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যাপারে কী কী পদক্ষেপ করা হবে। কোথাও কোনও বিশৃঙ্খলা, বিক্ষোভ যাতে না হয় সে কারণে আপাতত ৮০০ জন শ্রমিক থাকতে পারেন এমন পরিকাঠামো সব ব্লকগুলিতে করা হয়েছে। তার পরেও উদ্বেগ কাটছে না প্রশাসনের। একসঙ্গে সব শ্রমিক চলে এলে চাপ সামলানো যাবে না বলেই দাবি। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক তেওয়ারি বলেন, ‘‘সব ব্লককেই সর্তক করে দেওয়া হয়েছে। কোয়রান্টিনের পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শ্রমিকেরা আসার পরে দ্রুত পরীক্ষা এবং রিপোর্ট পাওয়ার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।”
লকডাউনের পর থেকে জলপাইগুড়িতে এখনও পর্যন্ত সাড়ে ন’হাজার শ্রমিক ফিরেছেন। এ বারও মহারাষ্ট্র এবং কেরল থেকে শ্রমিকেরা ফিরছেন না। এই তথ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে প্রশাসনের কর্তারা। প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলার বেশিরভাগ শ্রমিক ওই দুই রাজ্যে কাজ করেন। মহারাষ্ট্র এবং কেরল থেকে শ্রমিকেরা ফিরতে শুরু করলে কোয়রান্টিনে জায়গা যে কুলোবে না তা স্বীকার করে নিচ্ছেন আধিকারিকেরা। তবে এখনই না ফিরলেও ওই দুই রাজ্য থেকেও শ্রমিকদের ফেরানো হবে। তাই আগাম প্রস্তুতিতে জোর দেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy