Advertisement
E-Paper

করোনা তোয়াক্কা না করে প্রসব করালেন ওঁরা

বিভাগে কর্মরত নার্সিংস্টাফেরাই সদ্যোজাতদের দেখভালের দায়িত্ব পালন করছেন।

অর্জুন ভট্টাচার্য  

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২১ ০৬:০৯
যোদ্ধা: পিপিআই পরে।

যোদ্ধা: পিপিআই পরে। নিজস্ব চিত্র।

করোনা আক্রান্ত দুই মহিলার সন্তান প্রসব করালেন জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালের নার্সিংস্টাফেরা। জেলা সদর হাসপাতালের প্রসূতি করোনা বিভাগে বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন দশজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। আক্রান্ত এই অন্তঃসত্ত্বাদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছেন কর্তব্যরত আট জন নার্সিংস্টাফ। এছাড়াও জলপাইগুড়ি বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গনের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের প্রয়োজনীয় পরিষেবা দেওয়ার পর বাড়ির লোকেদের প্রতিদিনই ফোন করে রোগীদের শারীরিক অবস্থার খবর জানাচ্ছেন কর্তব্যরত নার্সিংস্টাফেরা।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে অন্তঃসত্ত্বাদের ভর্তি করানোর সময় র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করানো হচ্ছে। ভর্তি থাকা অন্তঃসত্ত্বাদের সিজার করার পর বেশ কয়েকজনের করোনা আর টি পি সি আর রিপোর্ট পজিটিভও এসেছে। তাঁদেরকে করোনা প্রসূতি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চারজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং কর্তব্যরত নার্সিংস্টাফেরা আক্রান্তদের পরিষেবা দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার করোনা আক্রান্ত দুই অন্তঃসত্ত্বার সাধারণ প্রসব হয়েছে। এই বিভাগে কর্মরত নার্সিংস্টাফেরাই সদ্যোজাতদের দেখভালের দায়িত্ব পালন করছেন। পিপিই কিট পরে আক্রান্তদের সব ধরনের পরিষেবা দিয়ে চলেছেন তাঁরা। তাঁদের এই কাজে খুশি অন্তঃসত্ত্বাদের পরিবারের লোকেরা। ভর্তি থাকা এক অন্তঃসত্ত্বার আত্মীয় বলেন, ‘‘বাড়িতে প্রায় সকলেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা খুবই চিন্তায় ছিলাম। হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সিংস্টাফদের পরিষেবায় আমরা খুশি। বৃহস্পতিবার আমাদের রোগীর এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।’’

শুধুমাত্র জেলা সদর হাসপাতালেই নয়, জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালেও দিন রাত নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৫২ জন নার্সিংস্টাফ আক্রান্তদের পরিষেবার কাজ করছেন। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত এই হাসপাতালের মহিলা বিভাগে ভর্তি রয়েছেন ৯৪ জন। পুরুষ বিভাগে ভর্তি আছেন ৯৭ জন। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে আছেন ১৭ জন। ভর্তি থাকা এই রোগীদের সব ধরনের প্রয়োজনীয় পরিষেবা দেওয়ার পর, আক্রান্তদের শারীরিক অবস্থার সংবাদ প্রতিদিনই ফোন করে বাড়ির লোকেদের জানাচ্ছেন নার্সিংস্টাফেরা।

হাসপাতাল সুপার গয়ারাম নস্কর বলেন, ‘‘এ এক কঠিন যুদ্ধে যোগ দিয়েছি আমরা। আমাদের কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্সিংস্টাফ ও স্বাস্থ্য কর্মীরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যে ভাবে আক্রান্তদের পাশে রয়েছেন তা সত্যিই আমাদের গর্বের। কর্তব্যরত সকলকেই কুর্নিশ জানাই।’’

COVID-19 coronavirus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy