Advertisement
E-Paper

শ্রমিকরা থাকুন, চাইছে নবান্নও

করোনা সংক্রমণে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। শ্রমিকরা ফিরে নিজের জেলাতেই থিতু হলে এ রাজ্যে শ্রমিকদের অভাব মিটবে বলেও মনে করা হচ্ছে।

অনির্বাণ রায় 

শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২০ ০৬:২৪
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরে এসে এখানেই থেকে যান— নবান্ন এমনই চাইছে বলে সূত্রের খবর। প্রশাসনের সঙ্গে শাসকদলের স্থানীয় নেতৃত্বকেও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমেই ঠিক হয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের দেহে করোনা সংক্রমণ না মিললে একশো দিনের প্রকল্পে কাজ দেওয়া হবে। এর পরের ধাপে সক্রিয় হবে শাসকদলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। তাঁদের দু’টি কাজ। পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে সকলে কাজ পান, তার নজরদারি করা। দ্বিতীয়ত, কেউ কাজ না পেলে তাঁর সঙ্গে প্রশাসনের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া। শুক্রবার জেলা তৃণমূলের সভাপতি এবং নেতৃত্বের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে তিনি বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরে এসে যাতে ‘বাংলার উন্নয়নে’ সামিল হতে পারে তা যেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি, জেলা সভাপতিরা তদারকি করেন।

ওই ভিডিয়ো বৈঠকে এ রাজ্যে দক্ষ শ্রমিকদের অভাব রয়েছে বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানান। করোনা সংক্রমণে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। শ্রমিকরা ফিরে নিজের জেলাতেই থিতু হলে এ রাজ্যে শ্রমিকদের অভাব মিটবে বলেও মনে করা হচ্ছে। তবে প্রথমে ফিরেই শ্রমিকরা কাজ পাবেন না, সে জন্য শুরুতে একশো দিনের কাজ প্রকল্পে সকলকে সুযোগ দিতে বলা হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী বলেন, “পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী খুবই চিন্তিত। ভিন্ রাজ্যে কাজে যাওয়া শ্রমিকরা ফিরে এসে নিজের এলাকায় যাতে কাজ পান তার বন্দোবস্ত করতে নির্দেশও দিয়েছেন।”

প্রশাসন সূত্রের খবর, মূলত মোটা মজুরির আশাতেই নিজের বাড়ি, আত্মীয়-পরিজন ছেড়ে দলে দলে যুবক-মধ্যবয়সীরা বহু দূরে কাজে যান। অনেকেই মাসের পর মাস বাড়িতে ফিরতে পারেন না। কারও নিজের বাড়ি গ্রামে ফিরতে বছর ঘুরে যায়। দীর্ঘদিন পরিজনদের ছেড়ে শুধু মোটা মজুরির আশাতেই এরা বাইরে থাকেন, মাসে মাসে পরিবারকে টাকাও পাঠান। করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক কাটলে এঁরা ফের একই আশায় ছুটবেন কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

প্রশাসন এবং শাসকদলের স্থানীয় নেতারা যুক্তি দিচ্ছেন, করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে ওঠার পরে অর্থনীতিতে মন্দা বাড়বে। সেই ধাক্কা সব রাজ্যেই পড়বে। তখন মজুরির হার সব রাজ্যেই তুলনামূলক এক হবে। তা ছাড়া পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরেই একশো দিনের কাজ পেলে রাজ্য বা স্থানীয় প্রশাসনের ওপর কৃতজ্ঞ থাকবেন। সেই আবেগে অনেকে থেকে যেতে চাইবেন। বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর পাল্টা কটাক্ষ, “পরিযায়ী শ্রমিকদের তো এই রাজ্য ফেরাতেই চাইছে না। আগে ফিরুক তার পর দেখা যাবে।”

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy