Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

নিজামুদ্দিন ফেরত ১২-র খোঁজ জেলায়

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ওই দলের সদস্যেরা দিল্লি থেকে ১২ মার্চ কিসানগঞ্জে পৌঁছন।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
ইসলামপুর শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২০ ০১:১৭
Share: Save:

দিল্লির নিজামুদ্দিনের জামাতে থাকা কয়েক জনের হদিস মিলল ইসলামপুরে। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পরে শনিবার তাঁদের গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোয়রান্টিন শিবিরে পাঠানো হয়।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন ইসলামপুরের গাইসাল বস্তি এলাকা থেকে ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের ৬ জন মহিলা। সকলেরই বাড়ি বর্ধমানে।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ওই দলের সদস্যেরা দিল্লি থেকে ১২ মার্চ কিসানগঞ্জে পৌঁছন। তার পরে কয়েক দিন বিহারের কয়েকটি জায়গায় ঘোরেন। ১৭ মার্চ তাঁরা পাঞ্জিপাড়ায় আসেন। তার পরে ইসলামপুরের গাইসালে আশ্রয় নেন। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, এখন সকলেই সুস্থ রয়েছেন। তবে নজরদারির জন্য ১৪ দিন কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে।

ইসলামপুরের মহকুমাশাসক খুরশিদ আলম জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।

জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, ওই ১২ জন রাজ্যে ঢোকার পরে যেখানে যেখানে গিয়েছিলেন, সে সব জায়গায় খোঁজখবর করা হচ্ছে। দিল্লি থেকে ওই ১২ জন যখন ফিরেছিলেন, তখন লকডাউন ছিল না। কিন্ত করোনা-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও কেন সকলে বাড়ি ফেরেননি, কেন সেখানে ছিলেন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এঁদের আশ্রয়দাতারা কেন ওই ব্যক্তিদের আসার খবর প্রশাসনকে জানায়নি, সেই বিষয়ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দলের সদস্যরা ৩ মার্চ দিল্লির নিজামুদ্দিনে রওনা দেন। ৪ মার্চ থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত তাঁরা নিজামুদ্দিনে ছিলেন। ১০ মার্চ পর্যন্ত ছিলেন দিল্লির একটি মসজিদে। ১০ মার্চ সকলে কিসানগঞ্জের দিকে রওনা দেন।

উত্তর দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা জানান, সকলের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে। কোনও রোগের উপসর্গ মেলেনি। নজরদারির জন্য তাঁদের ১৪ দিন কোয়রান্টিনে রাখা হবে।

ওই ঘটনার জেরে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ দাবি তুলেছেন, ওই ব্যক্তিদের লালারস সংগ্রহ করে করোনা-পরীক্ষা করা হোক। প্রশাসন জানিয়েছে, তা নিয়ে চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেবেন।

এলাকাবাসীর অনেকের প্রশ্ন, দিল্লি থেকে বর্ধমানের বাড়িতে না ফিরে সকলে উত্তর দিনাজপুরে এলেন কেন? জেলার এক তবলিগি সদস্যর দাবি, তাঁরা ঘুরে ঘুরে ধর্মীয় প্রচার করেন।

ইসলামপুর জেলা পুলিশ সুপার সচিন মাক্কর জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE