মালদহের মহদিপুর আন্তর্জাতিক সীমান্ত বাণিজ্যকেন্দ্র দিয়ে রফতানি চালু নিয়ে ধন্দ ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের সোনামসজিদ আমদানি ও রফতানিকারক সংস্থা চিঠি পাঠিয়ে এই সীমান্ত দিয়ে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য চালুর দাবি জানিয়েছে। মহদিপুর রফতানিকারক সংগঠনও মালদহের জেলাশাসকের কাছে চিঠি দিয়ে সোমবার থেকে রফতানি চালুর দাবি জানিয়েছে।
ব্যবসায়ীদের একাংশের বক্তব্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে সীমান্তের বাণিজ্য করিডর দিয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পারাপার শুরুর নির্দেশ দিয়েছে। যদিও জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারের তরফে এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশ পাঠানো হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার রফতানি চালুর আশায় বেশ কিছু পণ্যবোঝাই ট্রাক মহদিপুর সীমান্তে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ইংরেজবাজার থানার পুলিশ সেই ট্রাকগুলিকে সুস্থানি মোড়ে আটকে দিয়েছে।
করোনাভাইরাসেক সংক্রমণ রুখতে লকডাউন চালু হওয়ার পরে ২৩ মার্চ থেকে মহদিপুর আন্তর্জাতিক সীমান্ত বাণিজ্যকেন্দ্র দিয়ে রফতানি বন্ধ করা হয়। মহদিপুর ররফতানিকারক সংগঠন সূত্রে খবর, বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী ও পাথর মিলিয়ে ওই সীমান্ত বাণিজ্যকেন্দ্র দিয়ে প্রতি দিন কমপক্ষে ৩০০ পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে যেত। লকডাউনের পরে ওই সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ করা হয়। তার জেরে বিপাকে পড়েন রফতানিকারক থেকে শুরু করে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট, শ্রমিক, ট্রাকচালক।
বাংলাদেশের সোনামসজিদ আমদানি ও রফতানিকারক সংগঠন সম্প্রতি একটি চিঠি দেয় মহদিপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনকে। তাতে বাংলাদেশের ওই রফতানিকারক সংগঠনের সম্পাদক তফিকুর রহমান বাবু জানিয়েছেন, সে দেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে তাঁদের কয়েক দফায় আলোচনা হয়েছে। এবং তাঁরা বাণিজ্য চালু করতে চায়।
করোনা সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে তাদের দাবি, ভারত থেকে যে সমস্ত পণ্যবাহী ট্রাক মহদিপুর সীমান্ত দিয়ে ওপারের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে যাবে, সেই ট্রাক বা ট্রাকচালকেরা বন্দরের বাইরে কোথাও যাবেন না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই ওই বন্দর চত্বরেই লোডিং-আনলোডিংয়ের কাজ চলবে। সোনামসজিদ বন্দরের ওই রফতানিকারক সংগঠনের চিঠি পেয়ে মহদিপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন সোমবার থেকে ফের এই বাণিজ্য করিডর খোলার দাবিতে মালদহ জেলাশাসকের কাছে চিঠি দেয়।
মহদিপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক বলেন, ‘‘আমরা জেলাশাসকের কাছে চিঠি দিয়ে সোমবার থেকে ফের রফতানি বাণিজ্য চালু করতে চেয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে প্রশাসনের তরফে কিছু জানানো হয়নি।’’ জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে মহদিপুর বাণিজ্য করিডর খোলার ব্যাপারে কোনও সরকারি নির্দেশ আমাদের কাছে নেই। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নির্দেশ পেলে পদক্ষেপ করা হবে।’’