পুলিশ ফাঁড়ির অদূরে তালা ভেঙে সার ব্যবসায়ীর বাড়িতে চড়াও হয়ে স্ত্রী ও ছেলেকে বেঁধে রেখে টাকা ও অলঙ্কার লুঠ করে পালিয়েছে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী। মালদহের চাঁচলের খরবা ফাঁড়ি লাগোয়া গোবিন্দপুরে বুধবার রাতে ওই ঘটনাটি ঘটে।
বাড়িতে ঢুকে দুষ্কৃতীরা প্রথমে নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দেয় বলে অভিযোগ। ওই সময় ব্যবসায়ী বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী ও ছেলের মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে একটি ঘরে বেঁধে রেখে দুষ্কৃতীরা প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায়। তাদের মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। চিত্কার করলে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। রাতেই এলাকায় যায় পুলিশ।
পুলিশ ও ব্যবসায়ীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, খরবা ফাঁড়ির অদূরে বাড়ি সার ব্যবসায়ী অনুকূল সরকারের। বাড়ির সামনেই দোকান। রাত একটা নাগাদ পাঁচিল পেরিয়ে ছয় দুষ্কৃতী ভিতরে ঢোকে। বারান্দার গ্রিলের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই শব্দ শুনে বেরিয়ে আসেন ব্যবসায়ীর স্ত্রী সন্ধ্যাদেবী। তাঁরা নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে ছেলের নামে মামলা রয়েছে বলে সে কোথায় তা জানতে চান। সন্ধাদেবীই তাদের পাশের ঘরে নিয়ে যেতেই সেখানে মা ও ছেলের মুখে কাপড় গুঁজে তাদের বেঁধে রাখা হয়। প্রায় আধ ঘন্টা ধরে লুঠপাট চালিয়ে বাইরে থেকে শিকল তুলে দিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। পরে হইচই শুনে বাসিন্দারা এসে তাঁদের উদ্ধার করেন।
ব্যবসায়ীর ছেলে অলকবাবুর অভিযোগ, ভিতরে ছয় জনের মধ্যে তিন জনের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। আলমারির চাবি চাইতেই তা দিয়ে দিই। ওরা নগদ ৫৫ হাজার টাকা, অলঙ্কার সহ দামী জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সন্ধ্যাদেবী বলেন, ‘‘ছেলেকে দেখিয়ে দিতেই ওরা স্বমূর্তি ধরে।’’
চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস জানান, পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy