E-Paper

অবশেষে নতুন মালিকের হাতে কালচিনি চা বাগান

শ্রমিকেরা জানান, সুশীল মিতরুকা নামে যিনি বর্তমানে বাগান নিয়েছেন, তিনি নতুন নন। কয়েক মাস আগে পুরনো মালিক যখন বাগান চালাতে পারছিলেন না, তখন সুশীলকেই বাগান হস্তান্তরের কথা শোনা গিয়েছিল।

সৌম্যদ্বীপ সেন

শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:২৮
workers.

খুশিতে আবির খেলা চা শ্রমিকদের। নিজস্ব চিত্র

অবশেষে অন্য এক ব্যক্তির হাতে কালচিনি বাগান তুলে দিলেন বাগানের মালিক দয়াল আগরওয়াল। তাঁর কথায়, ‘‘সরকারি ভাবে কোনও বৈঠক না হলেও আমি বাগান নিয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেছি। তিনি আমার সব দাবি মেনে বাগান নিতে ইচ্ছুক। বুধবার নতুন মালিক পেতে চলেছে কালচিনি বাগান এবং তিন সপ্তাহ পরে কাজও শুরু হবে। বৃহস্পতিবার সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, বৈঠকও হবে।’’ এই খবরে খুশির হাওয়া শ্রমিক মহল্লায়। এ দিন সব ভুলে খুশিতে রং খেলতেও দেখা যায় তাঁদের।

শ্রমিকেরা জানান, সুশীল মিতরুকা নামে যিনি বর্তমানে বাগান নিয়েছেন, তিনি নতুন নন। কয়েক মাস আগে পুরনো মালিক যখন বাগান চালাতে পারছিলেন না, তখন সুশীলকেই বাগান হস্তান্তরের কথা শোনা গিয়েছিল। নতুন মালিকের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। শ্রমিকদের আশা সব সমস্যার সমাধানও হবে।

গত ২০ মার্চ থেকে পিএফের দাবিতে কাজ বন্ধ করে আন্দোলনে শামিল হন বাগানের শ্রমিকেরা। শ্রম দফতরের ডাকে দু’বার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। তা-ও ভেস্তে যায়। তার পরে, বাগান মালিক নিজে বৈঠক করে অন্য এক ব্যক্তির হাতে বাগান হস্তান্তর করেন। তবে কিস্তিতে নয়, একবারেই দিতে হবে পিএফের টাকা— শ্রমিকদের এই দাবি কি আদৌ পূরণ হতে এ বার, উঠছে প্রশ্ন।

বিটিডব্লিউইউ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক তোফিল শোরেন বলেন, ‘‘কোনও মালিকই এক বারে পিএফের টাকা জমা করতে পারবেন না। তবে কম কিস্তিতে তিনি পিএফের টাকা দেবেন, জানা গিয়েছে। বাগান মালিক নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে বাগান হস্তান্তর করেছেন। বৃহস্পতিবার শ্রম দফতরে বৈঠক হতে পারে। সেখানে পুরো বিষয় স্পষ্ট হবে।’’ তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীরেন্দ্র বারা ওঁরাও বলেন, ‘‘নতুন মালিক বাগানে এসেছেন, ভাল খবর। আশা করছি শ্রমিকদের সব সমস্যার সমাধান হবে।’’

কালচিনি বাগানের পুরনো মালিক দয়াল আগরওয়ালের দাবি, ‘‘৩১ মের মধ্যে আমার যা দেনা পাওনা আছে, তা নতুন মালিককে দিতে হবে। না হলে ১ জুন থেকে আমি বাগান অধিগ্রহণ করব। বিষয়টি শ্রম দফতরের বৈঠকে তুলব।’’

এ দিন কালচিনি বাগানে আসেন সুশীল মিতরুকা। তিনি শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদের সব অভিযোগ শোনেন। বুধবার থেকে ফের বাগানে কাজ শুরু হবে ও শ্রমিকদের আন্দোলনে বসার আগে তাঁদের ছ’দিনের মজুরিও বাকি ছিল— তা-ও এ দিন দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। সুশীল বলেন, ‘‘বাগান কারও অধিগ্রহণের প্রয়োজন নেই। আমরা ভাল মতো বাগানটি চালাবো। পিএফ সমস্যা নিয়ে শ্রম দফতরের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা করব।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Cooch Behar Workers

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy