ভোরে ডিউটির সময় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল সিভিক ভলান্টিয়ার কাকার। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই, জমি থেকে উদ্ধার হল ভাইপোর রক্তাক্ত দেহ। সোমবার সপ্তমীতে কাকা-ভাইপোর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পুরাতন মালদহের মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের সিংহাপাড়া।
পুলিশ জানিয়েছে, ভোর সাড়ে ৪টা নাগাদ মালদহ থানার সিভিক তপেশ রাজবংশী (৩৬) দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি উদ্ধারে গিয়েছিলেন। সূর্যাপুরের কাছে, ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে কালিয়াচকগামী ট্রাকের ধাক্কায় মারা যান। সকাল ১০টা নাগাদ গ্রামেরই জমি থেকে কিষান্ত রাজবংশীর (৩৪) রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। তদন্ত শুরু হয়েছে।
সূত্রের খবর, ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে সূর্যাপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাককে ধাক্কা মেরে উল্টে যায় একটি ছোট যাত্রিবাহী গাড়ি। পুলিশের উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে ঘটনাস্থলে যান তপেশ। সেই সময় বেপরোয়া গতিতে কালিয়াচকগামী একটি ট্রাক তপেশকে পিষে দিয়ে চলে যায়। পরে পিছু ধাওয়া করে ওই ট্রাকের চালককে আটক করে পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পরেই বাড়ি লাগোয়া জমি থেকে তপেশের ভাইপো কিষান্তের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর স্ত্রী সুস্মিতা মাঝি বলেন, “কাকার মৃত্যুতে আমরা শোকস্তব্ধ হয়ে বাড়িতে বসেছিলাম। সে সময় স্বামীর দেহ উদ্ধারের ঘটনা শুনি।”
বাস দুর্ঘটনা, শিশুর মৃত্যু
বোলপুর: সপ্তমীর সকালে বাস দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল এক শিশুর। আহত আরও ৩০-৩৫ জন। সোমবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে নানুর-বোলপুর সড়কে, বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত শিশুর নাম সুকান্ত দাস (৬)। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানার পালিটা গ্রামে। ররিবার, ষষ্ঠীর রাতেও পৃথক দু’টি দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
নানুর থেকে বোলপুরে আসছিল যাত্রীবোঝাই ওই বেসরকারি বাস। সে সময় ওই রাস্তা ধরে একটি টোটো যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল। রাস্তার মাঝে বড় গর্ত গর্ত পাশ কাটাতে গিয়ে বেসরকারি বাস প্রথমে টোটোয় সজোরে ধাক্কা মারে। টোটো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। তারপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটিও রাস্তার উপরে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় বাসে থাকা ওই শিশুর। নিজস্ব সংবাদদাতা
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)