E-Paper

স্কুল ফেরতা ছাত্রীর মাথা থেঁতলানো দেহ মিলল

স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে ছাত্রীর দেহটি দেখতে পান। এর পরে, মাটিগাড়া থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৩ ০৮:২৪
ছাত্রী খুনের ঘটনায় মাটিগাড়া থানার বাইরে বিক্ষোভ বিজেপির।

ছাত্রী খুনের ঘটনায় মাটিগাড়া থানার বাইরে বিক্ষোভ বিজেপির। ছবিঃ নিজস্ব চিত্র।

এক স্কুলছাত্রীকে মাথা থেঁতলে খুনের অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়ি লাগোয়া মাটিগাড়ায়। সোমবার বিকেলে মাটিগাড়া থানার খাপরাইল মোড় সংলগ্ন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। একটি পরিত্যক্ত জমিতে স্কুলের পোশাক পরা ওই নাবালিকা স্কুলছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। পাশেই পড়েছিল তার স্কুলব্যাগ। এবং একটি ইট। সেটি দিয়ে মাথা থেঁতলে মেয়েটিকে খুন করা হয় বলে ধারণা বাসিন্দা ও পুলিশের।

স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে ছাত্রীর দেহটি দেখতে পান। এর পরে, মাটিগাড়া থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার অখিলেশকুমার চতুর্বেদী। শিলিগুড়িতে শনিবার এক প্রৌঢ়া খুন হয়েছেন। এ দিন ছাত্রীর খুন হওয়ার খবর ছড়াতে থানায় জড়ো হন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। শিলিগুড়ির নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। তবে পুলিশকর্তারা সে প্রসঙ্গে মন্তব্য করেননি।

জানা গিয়েছে, একটি নেপালি মাধ্যম স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে পড়ত ওই ছাত্রী (১৬)। এ দিন সকালে স্কুলে গিয়েছিল সে। বিকেল ৪টে নাগাদ স্কুল ছুটির পরে, সে সহপাঠীদের সঙ্গে বেরোয়। কিন্তু ৫টা বেজে গেলেও, মেয়েটি বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবার। এরই মধ্যে সাড়ে ৫টা নাগাদ পুলিশ পরিবারকে ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের খবর দেয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, পরিত্যক্ত জমিটির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় চিৎকার শোনে এক পড়ুয়া। সে-ই স্থানীয়দের গিয়ে বিষয়টি জানায়। এর পরে কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি ওই জমির ভিতর ঢুকে দেখতে পান, ওই ছাত্রীর রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। আজ, মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেহের ময়না-তদন্ত হওয়ার কথা।

ডিসিপি অভিষেক গুপ্ত, এসিপি রাজেন ছেত্রী এ দিন সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে যান। রাতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে থানায় ডাকা হয়। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ কর্তারা। কথা বলা হয় নিহত ছাত্রীটির মায়ের সঙ্গেও। থানার কন্ট্রোল রুমে মাটিগাড়া এলাকার সিসি ক্যামেরাগুলির ফুটেজ দেখা হয়। স্কুলের এক শিক্ষক জানান, ওই ছাত্রীটি নিয়মিত স্কুল যেত। সোমবার স্কুল ছুটির সময় অন্যান্য পড়ুয়াদের সঙ্গেই সে বেরিয়েছিল।

মেয়েটির বাবা-মা কথা বলার অবস্থায় ছিলেন না। আত্মীয়েরা জানান, মেয়েটি দম্পতির একমাত্র সন্তান। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘খুনির চরম শাস্তি চাই।’’ রাতে মাটিগাড়া থানার পুলিশ এবং পুলিশের ‘স্পেশাল অপারেশন্স গ্রুপ’ ঘটনাস্থলে যায়। পরিবারটির সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের নেতারা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Siliguri

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy