তৈরি হয়ে গিয়েছে জয়ন্তী বনবাংলো। ছবি: নারায়ণ দে।
আগুনে পুড়ে য়াওয়ার পরে সংস্কার শেষ। পর্যটকদের অপেক্ষায় জয়ন্তী বনবাংলো। তবে এখনও সরকারি ভাবে উদ্বোধন না হওয়ায় দ্রুত বাংলোটি উদ্বোধনের দাবি তুলেছেন জয়ন্তীর বাসিন্দারা।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজ আমলে বনকর্তাদের জঙ্গল পরিদর্শনের সময় বিশ্রামের জন্য দুই কক্ষের কাঠের বাংলোটি তৈরী হয়েছিল। পরবর্তীতে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে বাংলোটি। বাংলোর সামনে জয়ন্তী নদী ও জয়ন্তী পাহাড়। শান্ত পরিবেশে জঙ্গলের মাঝে সময় কাটাতে প্রায় সারা বছর পর্যটকদের চাহিদার তালিকায় উপরের দিকে থাকে বাংলোটি। ইংরেজ আমলে দুই কক্ষের বাংলোটি ২০০৭ সালে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে সংস্কার করে তিন কক্ষের করা হয়। পরে ২০১১ সালে আগুন লেগে বাংলোটি পুড়ে যায়। বাংলোটি নতুন করে বানানোর সময় তা চার কক্ষের করা হয়েছে। সবকটি ঘরই বাতানুকুল। কিন্তু বাংলোটি সম্পূর্ণ রূপে তৈরি হলেও চালু হচ্ছে না বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। তাঁদের বক্তব্য, যত দ্রুত বাংলো চালু হবে এলাকার পর্যটনের পক্ষে তা ততোই ভাল হবে। বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “জয়ন্তী বাংলোটি উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত। এপ্রিল মাসে মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে বাংলোটি উদ্বোধনের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি বাংলোটি মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে উদ্বোধন করাতে। তাঁর সময়ের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।”
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়ন্তী বনবাংলোটি তৈরী করতে প্রায় ৪৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। চারটি থাকার ঘর ছাড়াও দুটি সুন্দর বারান্দা রয়েছে প্রাকৃতিক শোভা উপভোগ করার জন্য। তাছাড়া জয়ন্তী রেঞ্জের কাছে ছটি ইকো-কটেজও তৈরি করা হয়েছে। সেগুলিও উদ্বোধনের অপেক্ষায়। জয়ন্তী বন বাংলো ও ইকো-কটেজ চালু হলে জয়ন্তীতে পর্যটকদের ঢল আরো বাড়বে বলেই ধারণা এলাকার পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত বাসিন্দাদের। জয়ন্তী ট্যুরিস্ট গাইড সংগঠনের তরফে শেখর ভট্টাচার্য বলেন, “জয়ন্তীতে পর্যটকরা এসে আগে বনবাংলোর খোঁজ করেন। তাই পর্যটনের উন্নয়নের স্বার্থে আমরা চাইছি দ্রুত বাংলোটি চালু হোক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy