Advertisement
E-Paper

নোট বাতিল সত্ত্বেও বই বিক্রি বাড়ল কোচবিহারে

নোট বাতিলের সমস্যা ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিক্রি বাড়ল কোচবিহার বইমেলায়। এবারের বইমেলায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে মোবাইল এটিএমের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে নিয়মিত নগদের জোগানও ছিল। মেলায় একাধিক প্রকাশনী সংস্থার তরফে কার্ড ও অন্য ক্যাশলেস ব্যবস্থার মাধ্যমে বই কেনাবেচার ব্যবস্থাও ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:২৯
দলবেঁধে মেলায়। ছবি: নিজস্ব চিত্র

দলবেঁধে মেলায়। ছবি: নিজস্ব চিত্র

নোট বাতিলের সমস্যা ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিক্রি বাড়ল কোচবিহার বইমেলায়। এবারের বইমেলায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে মোবাইল এটিএমের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে নিয়মিত নগদের জোগানও ছিল। মেলায় একাধিক প্রকাশনী সংস্থার তরফে কার্ড ও অন্য ক্যাশলেস ব্যবস্থার মাধ্যমে বই কেনাবেচার ব্যবস্থাও ছিল। এসবের জন্য বই কিনতে তেমন সমস্যায় পড়তে হয়নি বলে জানাচ্ছেন বাসিন্দারা।

সোমবার কোচবিহারের রাসমেলা ময়দানে শেষ হয়েছে বইমেলা। মেলা শেষে প্রাথমিক হিসেবের পরে উদ্যোক্তাদের দাবি, এ বার প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ টাকার ব্যবসা হয়েছে। গত বছর হয়েছিল ১ কোটি টাকার ব্যবসা। নোট বাতিলের জেরে ব্যবসা খারাপ হওয়ার আশঙ্কা ছিল বই ব্যবসায়ীদের মধ্যে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গত বছরের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি ব্যবসা হওয়ায় হাসি ফুটেছে তাঁদের মুখে। মেলায় নজরকাড়া ভিড় ছিল আনন্দ পাবলির্শাসের স্টলে। স্টলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “গতবারের চেয়ে এবার দশ শতাংশ বেশি ব্যবসা হয়েছে।” একই কথা শোনা গিয়েছে অন্য প্রকাশনী সংস্থার কর্তাদের মুখেও।

যদিও নোট বাতিলের সমস্যা না থাকলে ব্যবসার অঙ্ক আরও বাড়ত বলে দাবি করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘নোট বাতিলের সমস্যা না হলে মেলায় বই বিক্রির টাকার অঙ্ক অন্তত ৩ কোটি টাকায় দাঁড়াত।’’ যদিও কলকাতার বই ব্যবসার সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে যুক্ত কয়েকজন জানান, মফস্বল শহরের বইমেলায় এক বছরে ২০০ শতাংশ ব্যবসা ব়়ৃদ্ধি প্রায় অসম্ভব।

৩ জানুয়ারি মেলা শুরু হয়। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার ৯০টি প্রকাশনী সংস্থা যোগ দেয়। মোট স্টল ছিল ১২৫টি। মেলা কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর ১০২টি গ্রামীণ গ্রন্থাগারের ন্যূনতম ৮ হাজার, ৭টি গ্রামীণ গ্রন্থাগারের ১৫ হাজার ও একটি জেলা গ্রন্থাগারের জন্য ৪০ হাজার টাকার বই কেনা বাধ্যতামূলক ছিল। সেই হিসাবে বিক্রি দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। এছাড়াও বিভিন্ন কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাধারণ বইপ্রেমীরাও বই কিনেছেন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। কোচবিহার বইমেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সর্বানন্দ বর্মন বলেন, “মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। ব্যবসাও বেড়েছে।”

মেলায় যে বই বিক্রি বেড়েছে তা জানিয়েছেন জেলা গ্রন্থাগারিক দেবব্রত দাসও। তিনি বলেন, “কিছু গ্রন্থাগার বুক গ্রান্টের অতিরিক্ত মূল্যের বই কিনেছে।” মেলা শেষে মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ফুল, মিষ্টি দিয়ে আগামীবার মেলায় আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রকাশনী সংস্থার কর্তাদের। আমন্ত্রণ পেয়ে খুশি তাঁরা। কলকাতার এক প্রকাশনী সংস্থার কর্তা রাম প্রসাদ বলেই দিলেন, ‘‘এমন আমন্ত্রণ অন্য কোথাও পাইনি।’’

Fair Books demonetisation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy