ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়ছে শিলিগুড়ি শহরে। অন্তত ১৫ জনের দেহে সংক্রমণ মিলেছে। যদিও পুরসভা কর্তৃপক্ষের দাবি, এর মধ্যে জনা তিনেক বাইরের বাসিন্দাও রয়েছেন। ডেঙ্গি রোধে মে মাস থেকে বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা শুরুর কথাও জানানো হয়েছিল। তবে এখনও প্রস্তুতি শেষ করে ওই কাজ শুরু করা যায়নি। স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ এখনও চলছে বলে জানানো হয়েছে। সমীক্ষার কাজে দেরি হলে সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
পুরসভা কর্তৃপক্ষের দাবি, জুন থেকে মাসে চার দফায় সমীক্ষা করা হবে। তবে মে মাস থেকেই শিলিগুড়ি শহরে দুই দফায় সেই কাজ শুরু করার কথা রয়েছে। পরের সপ্তাহ থেকেই শুরু করার চেষ্টা চলছে। মাঝেমধ্যেই হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। সেই জল জমে থাকছে আনাচে-কানাচে। দিনে রোদে গরম হচ্ছে। এমন পরিবেশ ডেঙ্গির বাহক এডিস মশার বংশবিস্তারের পক্ষে আদর্শ বলে মনে করছেন পতঙ্গবিদরা। সে কারণে সমীক্ষক দল নামিয়ে এখনই পরিস্থিতি নজরদারিতে না রাখলে এবং সেই মতো ব্যবস্থা না নিলে পরে বেগ পেতে হতে পারে বলে অভিযোগ।
পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত বলেন, ‘‘আগামী সপ্তাহে সমীক্ষার কাজ শুরু করার চেষ্টা চলছে। এ মাসে দু’বার সমীক্ষা হবে। জুন থেকে সমীক্ষা অবশ্য মাসে চার বার করে তা হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের কিছু প্রশিক্ষণ বাকি রয়েছে। তা হচ্ছে।’’
তবে স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, ভেক্টর কন্ট্রোল টিম (ভিসিটি) কাজ করতে শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় স্প্রে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজও চলছে। ৩০ এপ্রিল শিলিগুড়ি শহরের ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে এক জন তরুণ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন। তার আগে এপ্রিল মাসেই ৩২, ৩৭, ৪৬ নম্বরের মতো ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্ত মিলেছে। মার্চ মাসে ২, ২২, ৩১ নম্বরের মতো ওয়ার্ডেও ডেঙ্গির সংক্রমণ মিলেছে। শিলিগুড়ি পুরসভার সংযোজিত ওয়ার্ডগুলিতে ডেঙ্গির সংক্রমণ বেশি ঘটছে বলে নজরে এসেছে। জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে হওয়ায় ওই এলাকায় পতঙ্গবিদদের নজরদারি জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে দেখা হয়। তবে শিলিগুড়ি পুরসভার তরফে নজরদারি থাকেই বলে জানানো হয়েছে।
শিলিগুড়ি পুরসভার বিরোধী দলনেতা, বিজেপির অমিত জৈন বলেন, ‘‘লার্ভা জন্মাচ্ছে বলেই একটা দুটো করে বিভিন্ন দিকে ডেঙ্গি হচ্ছে। এখনই সমীক্ষা শুরু করে পরিস্থিতির উপরে নজরদারি দরকার।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)