কোথাও নির্মীয়মাণ ভবনে জমে বৃষ্টির জল, কোথাও নির্মাণ সামগ্রীতে বন্ধ নিকাশি। শুক্রবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে এমন ছবি দেখে ক্ষোভ উগরে দিলেন রোগীকল্যাণ সমিতির সদস্য তথা ইংরেজবাজারের পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। তাঁর দাবি, মেডিক্যাল কলেজ চত্বর ডেঙ্গির ‘আঁতুড়ঘর’। হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে রোগীদের অসুস্থ হয়ে ফিরতে হবে। এ দিন নির্মাণ সংস্থার এক সদস্যকে ‘ধমক’ দিয়ে নিয়ম মেনে কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি।
স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, এখন ডেঙ্গির সংক্রমণ জেলায় বাড়ছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গিতে অক্রান্ত ৯২ জন। মে মাসে ২৭ জন আক্রান্ত হন। তাঁদের মধ্যে ইংরেজবাজার, পুরাতন মালদহ শহরের বাসিন্দাও রয়েছেন। তবে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মেডিক্যাল কলেজ বা জেলার হাসপাতালগুলিতে রোগী ভর্তি নেই, দাবি কর্তৃপক্ষের। মালদহের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ি বলেন, “ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। পরীক্ষা বাড়ানো হয়েছে। রোগীদের জ্বর হলে স্বাস্থ্যকেন্দ্র যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”
এ দিন মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কৃষ্ণেন্দু। জানা গিয়েছে, ট্রমা কেয়ার ইউনিটের সামনে একটি ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। সে নির্মীয়মাণ ভবন চত্বরে জল জমে। নির্মাণ সামগ্রীতে প্রায় আটকে গিয়েছে নর্দমার মুখ। আর তাতে মশার লার্ভা কিলবিল করছে বলে অভিযোগ। নির্মাণকারী ঠিকাদার সংস্থার এক কর্তাকে ধমক দিয়ে কৃষ্ণেন্দু বলেন, “মেডিক্যাল কলেজ চত্বর ডেঙ্গির আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে। নির্মাণকারী সংস্থাকে তাই দ্রুত সাফাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি ঠিকাদার সংস্থার সদস্যেরা। তবে মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ রোগীর পরিজনেরা। তাঁদের দাবি, দিনের বেলাতেও মশার উপদ্রবে মেডিক্যাল চত্বরে বসে থাকা যায় না। মেডিক্যালের সুপার তথা সহ অধ্যক্ষ প্রসেনজিৎ বর বলেন, “নিয়মিত নর্দমা পরিষ্কার করে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হয়।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)