E-Paper

আশ্বাসের তিন দশকেও পাকা হয়নি মাটির রাস্তা

এলাকাটি মালতিপুর বিধানসভার মধ্যে। বাসিন্দারা জানান, শ্রীপুরে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে আসকাপাড়া পর্যন্ত দু’কিলোমিটার পাকা রাস্তা।

বাপি মজুমদার 

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:০৩
রতুয়ার গোবিন্দপুর থেকে আসকাপাড়া পর্যন্ত রাস্তাটি এমনই বেহাল হয়ে রয়েছে।

রতুয়ার গোবিন্দপুর থেকে আসকাপাড়া পর্যন্ত রাস্তাটি এমনই বেহাল হয়ে রয়েছে।

বর্ষায় রাস্তা যেন চষা খেত, আর শুখা মরসুমে ওড়ে ধুলো। মালদহের রতুয়ার গোবিন্দপুর থেকে আসকাপাড়া পর্যন্ত মাটির ওই রাস্তাটি পাকা করার দাবি দীর্ঘ দিনের। কিন্তু এলাকাবাসীর দাবি, তিন দশক ধরে প্রতিশ্রুতি মিললেও, রাস্তাটি পাকা হয়নি। ফলে, যানবাহন চলে না। বাসিন্দাদের একাংশকে চার কিলোমিটার ঘুরপথে যাতায়াত করতে হয়। রাস্তাকে ঘিরে তাই ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার মানুষ।

এলাকাটি মালতিপুর বিধানসভার মধ্যে। বাসিন্দারা জানান, শ্রীপুরে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে আসকাপাড়া পর্যন্ত দু’কিলোমিটার পাকা রাস্তা। কিন্তু আসকাপাড়া থেকে গোবিন্দপুর মোন্না মোড় পর্যন্ত চার কিলোমিটার মাটির রাস্তা পাকা হয়নি। সেটি ভেঙেচুরে একাকার। সে পথে যাতায়াত করে গোবিন্দপুর, হরিরামপুর, নজরপুর ছাড়া চাঁচলের খানপুর, গোয়ালপাড়ার বাসিন্দারা। বেহাল রাস্তার জন্য শ্রীপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েত, সামসি যেতে চার কিলোমিটার ঘুরপথে যেতে হয়। শুধু যাতায়াতেই সমস্যা হচ্ছে তা নয়। এলাকার অধিকাংশ মানুষই কৃষিজীবী। চার কিলোমিটার রাস্তার পাশে রয়েছে কয়েক হাজার বিঘা জমি। ফলে, ফসল ঘরে তোলা এবং বাজারে নিয়ে যেতেও তাদের জেরবার হতে হচ্ছে। জেলা পরিষদের কৃষি, সেচ ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম বলেন, ‘‘চাষিদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, এমন রাস্তা চিহ্নিত করে দ্রুত যাতে সেগুলির সমস্যা মেটে তা দেখা হচ্ছে।’’

স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল আলম বলেছেন, ‘‘ভোট এলে প্রতিশ্রুতি মেলে। পরে কারও দেখা মেলে না। রাস্তার জন্য বাড়তি খরচ হওয়ায় চাষি লাভের মুখ দেখতে পারছেন না।’’ মালতিপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী জেলা তৃণমূল সভাপতিও। বিধায়ক বলেন, ‘‘রাস্তা যাতে পাকা করা হয়, সে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Ratua

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy