E-Paper

বহু গ্রামীণ প্রকল্প থমকে মাঝপথে, স্তব্ধ উন্নয়নও

কুমারগঞ্জ, হরিরামপুর নয়, তপনে চণ্ডীপুর পঞ্চায়েতের রাজাপুরে দেড় কিলোমিটার মাটির রাস্তার কাজও থমকে। বন্ধ হিলি বাসস্ট্যান্ড থেকে সীমান্ত চেকপোস্ট পর্যন্ত ৪০০ মিটার রাস্তা তৈরির কাজ।

শান্তশ্রী মজুমদার

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৩ ০৯:০৪
‘ওয়ার্ক অর্ডার’ হলেও কুমারগঞ্জের রামকৃষ্ণপুর পঞ্চায়েতের সাহাপুকুর থেকে সুরুন্ডা দু'কিলোমিটার রাস্তার কাজ শুরু হয়নি। ছবি: অমিত মোহান্ত

‘ওয়ার্ক অর্ডার’ হলেও কুমারগঞ্জের রামকৃষ্ণপুর পঞ্চায়েতের সাহাপুকুর থেকে সুরুন্ডা দু'কিলোমিটার রাস্তার কাজ শুরু হয়নি। ছবি: অমিত মোহান্ত amitmhnt83@gmail.com

কুমারগঞ্জ ব্লকের রামকৃষ্ণপুর পঞ্চায়েতের সাহাপুকুর থেকে সুরুন্ডা পর্যন্ত প্রায় দু’কিলোমিটার রাস্তা পাকা করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল পঞ্চায়েত ভোটের আগে। ওয়ার্ক অর্ডার হওয়ার পরেও সেই রাস্তার কাজ এখনও শুরু হয়নি বলে অভিযোগ। হরিরামপুর ব্লকের বাগিচাপুর পঞ্চায়েতের কাকিয়ারে ৩.৫ লক্ষ টাকার জল প্রকল্পের কাজ পঞ্চায়েত ভোটের আগে স্থগিত হয়। তা কয়েক দিন হল চালু হয়েছে ঠিকই, কিন্তু দ্রুত কাজ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন ব্লক আধিকারিকেরা।

ভোট পেরিয়েছে। গণনাও শেষ। কিন্তু রেশ কাটিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গ্রামীণ প্রকল্পগুলির কাজে যেন গতি আসতে চাইছে না। কেবল কুমারগঞ্জ, হরিরামপুর নয়, তপনে চণ্ডীপুর পঞ্চায়েতের রাজাপুরে দেড় কিলোমিটার মাটির রাস্তার কাজও থমকে। বন্ধ হিলি বাসস্ট্যান্ড থেকে সীমান্ত চেকপোস্ট পর্যন্ত ৪০০ মিটার রাস্তা তৈরির কাজ। প্রশাসন সূত্রে দাবি করা হয়েছে, সব কাজ যাতে দ্রুত শুরু করে দেওয়া হয় সেই নির্দেশ কয়েক দিন আগে দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ বলেন, ‘‘ভোট শেষ। এ বার কাজ যাতে দ্রুত শুরু হয়, তার জন্য প্রত্যেকটি ব্লকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।’’ জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ভোটের আগে পথশ্রী প্রকল্পে বেশ কয়েক কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা তৈরির প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল তার ২০ শতাংশের কাজ এখনও আটকে রয়েছে। সেগুলি শুরু হবে।

নতুন বোর্ড গঠন হতে আরও অন্তত এক মাস সময় লাগতে পারে। এর মধ্যে বেশিরভাগ জায়গাতেই শাসকদলের প্রধান এবং সদস্যদের মুখ বদলেছে। কেবল তাই নয়, কিছু পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখল থেকে গিয়েছে বিজেপির হাতে। কিছু বিজেপি থেকে তৃণমূলে। পুরনো বা বিদায়ীরা কাজে কতটা সাহায্য করবে তা নিয়েও প্রশাসনের অন্দরে রয়েছে সংশয়। হরিরামপুর ব্লকের বাগিচাপুর পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান গুলজার আলম বলেন, ‘‘আমার আমলে যে প্রকল্পগুলো হাতে নেওয়া হয়েছিল, যত দিন কেয়ারটেকার হিসেবে আছি, শেষ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাব।’’

একশো দিনের কাজ বন্ধ। আবাসন নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। গ্রামীণ প্রকল্পগুলির কাজ দ্রুত শেষ না হলে সাধারণ মানুষের সমস্যা বাড়তে পারে বলে মনে করছে প্রশাসনের একাংশ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Development Work Balurghat

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy