ধূপগুড়ির কলেজে চূড়ান্ত অব্যবস্থার ছবি। —নিজস্ব চিত্র।
প্রায় দেড় বছর পর রাজ্যের সর্বত্র স্কুল-কলেজের দরজা খুললেও ব্যতিক্রমী ছবি ধূপগুড়ি গার্লস কলেজে। সরকারি নির্দেশ সত্ত্বেও পড়ুয়াদের জন্য কলেজের দরজা খুলল না। এই ঘটনায় জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, কোভিড রোগীদের সেফ হোমে পরিণত এই কলেজের চাবি সময় মতো হস্তান্তর করেনি স্বাস্থ্য দফতর। সে কারণে মঙ্গলবার তো খোলার মতো অবস্থায় ছিল না। ফলে মঙ্গলবার জেলায় জেলায় স্কুল-কলেজে পঠনপাঠন শুরু হলেও এই কলেজের পড়ুয়াদের সে সুযোগ হয়নি। যদিও শীঘ্রই কলেজ খোলার আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার ধূপগুড়ির এই কলেজে গিয়ে দেখা গেল চূড়ান্ত অব্যবস্থার ছবি। কলেজ চত্বরে পড়ে রয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহৃত পোশাক, পিপিই কিট, হ্যান্ড গ্লাভস-সহ অন্যান্য সামগ্রী। শ্রেণিকক্ষের ভিতরের বেঞ্চ, চেয়ার, টেবিল ভাঙা অবস্থায় যত্রতত্র পড়ে রয়েছে। কলেজের গেট থেকে চত্বরের রাস্তাটির দু’পাশে ঝোঁপঝাড়ে ভরা । তাতে আশ্রয় নিয়েছে বিষধর সাপ। গোটা কলেজ জু়ড়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। কলেজ পড়ুয়াদের অনেকেপর দাবি, সরকারি ঘোষণা শুনে মঙ্গলবার কলেজে এসেছিলেন। তবে তার দরজা বন্ধ দেখে কলেজের বাইরে থেকেই ফিরে যান।
কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, সময় মতো কলেজ খোলার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে দরবার করেছিলেন। তবে বার বার কলেজের চাবি হস্তান্তরের কথা বলা হলেও তাতে শেষ মুহূর্তে সাড়া পাওয়া গিয়েছে। সে যার ফলে মঙ্গলবার কলেজ খোলা গেল না। বার বার জানানোর পর সোমবার কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে কলেজের চাবি হাতে আসে। এত অল্প সময়ের মধ্যে কলেজ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্যানিটেশন করা সম্ভব হয়নি। যার জেরে তা খোলা যায়নি। কলেজের অধ্যক্ষ বিজয় দেবনাথ বলেন, ‘‘এই কলেজকে করোনা রোগীদের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল। সে কারণে এতদিন কলেজে যাওয়া সম্ভব হয়নি। কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে বার বার স্বাস্থ্য–সহ বিভিন্ন আধিকারিকের কাছে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলাম, এটি আমাদের হস্তান্তর করা হোক। সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ আমরা কলেজের চাবি পেয়েছি। গোটা কলেজ ঝোঁপজঙ্গলে ভরে রয়েছে। কলেজকে সেফ হোম করা হলেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়নি। সে কারণে সরকারি ঘোষণা মতো আজ থেকে কলেজের পঠনপাঠন শুরু করা যায়নি। আশা করছি খুব শীঘ্রই কলেজে ক্লাস শুরু করা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy