Advertisement
E-Paper

তিন বছর পরে খুলল ডিমডিমা চা বাগান

সকাল থেকেই সাজোসাজো রব ডিমডিমা চা বাগানে। স্নান সেরে সকালেই বাগানের ফ্যাক্টরিতে ভিড় করেছেন চা শ্রমিক রীতা মুন্ডা, সবিতা খাড়িয়ারা। যেন বাগানে ফিরে এসেছে পুরনো ব্যস্ততা। হবে নাই বা কেন। দীর্ঘ তিন বছর অপেক্ষার পরে শুক্রবার খুলে গেল ডিমডিমা চা বাগান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৮ ০২:৪৫
খুশি: বাগান খোলার আনন্দে জড়ো হন শ্রমিকেরা। নিজস্ব চিত্র

খুশি: বাগান খোলার আনন্দে জড়ো হন শ্রমিকেরা। নিজস্ব চিত্র

সকাল থেকেই সাজোসাজো রব ডিমডিমা চা বাগানে। স্নান সেরে সকালেই বাগানের ফ্যাক্টরিতে ভিড় করেছেন চা শ্রমিক রীতা মুন্ডা, সবিতা খাড়িয়ারা। যেন বাগানে ফিরে এসেছে পুরনো ব্যস্ততা। হবে নাই বা কেন। দীর্ঘ তিন বছর অপেক্ষার পরে শুক্রবার খুলে গেল ডিমডিমা চা বাগান।

বোনাস ও বেতন নিয়ে ঝামেলার জেরে বাগান ছেড়ে চলে গিয়েছিল মালিক পক্ষ। তারপর থেকে অচলাবস্থা চলছিল বাগানে। বাগান খোলায় খুশির হাওয়া শ্রমিক লাইনগুলোয়। এ দিন সকালে ফ্যাক্টরিতে গণেশ পুজোর আয়োজন করেন মালিক পক্ষ ও শ্রমিকরা। পাশাপাশি এ দিনই বকেয়া বোনাসের প্রায় তেরো লক্ষ টাকা দিয়েছেন মালিক পক্ষ। সেই কারণেও বাগানের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশার আলো দেখছেন বাগান শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারগুলো।

শ্রমিকরা জানান, বছর তিনেক আগে তাঁদের সঙ্গে বেতন নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় মালিকপক্ষের। কারণ তখন কয়েক মাস ধরে শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া বন্ধ করেছিল মালিক পক্ষ। তা নিয়ে বিরোধ বাড়তে থাকায় বাগান ছেড়ে চলে যায় মালিকপক্ষ। কিন্তু বাগান বন্ধ করার ঘোষণা করা হয়নি। ফলে বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য সরকারি অনুদান বা ফাউলাই জোটেনি ডিমডিমার শ্রমিকদের। চরম দুর্দশায় দিন কাটছিল প্রায় ষোলোশো শ্রমিকের। এক বাগান শ্রমিক জনক সিংহ জানান, তিন বছর ধরে অধিকাংশ শ্রমিক সংসার চালাতে বীরপাড়া ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় দিন মজুরির কাজে যেত। অনেক ভিন্ রাজ্যেও চলে গিয়েছেন। বাগান কর্মী শিবপ্রসাদ রায় বলেন, ‘‘ফাউলাই পেতাম না। রাজ্য সরকারের তরফে দু’টাকা দরে পঁয়ত্রিশ কেজি করে চাল পেতাম। তাতেই কোনওমতে চলত।’’

আজ শনিবার থেকে কাজ শুরু হবে ডিমডিমা চা বাগানে। কিছুদিন কাজ না হলে বেতন মিলবে না শ্রমিকদের। তাই সেই ক’দিন শ্রমিকদের সংসার চালাতে যাতে অসুবিধে না হয় তার জন্য স্পেশ্যাল জিআর-এর আবেদন করা হয়েছিল তৃণমূলের চা শ্রমিক সংগঠনের তরফে। মান্না জৈন জানান, সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই শ্রমিকদের জন্য দু’দিনের স্পেশ্যাল জিআর-এ মোট দুশো ষাট টাকা মঞ্জুর করেছে প্রশাসন।

বাগান খোলাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গাও।

Dimdima Tea Garden Tea Garden ডিমডিমা চা বাগান
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy