প্রতীকী ছবি।
রাগ যেন কিছুতেই মিটছে না! বক্তৃতায় সুযোগ পেলেই কেন্দ্রীয় নেতাদের তেড়ে আক্রমণ করছেন বিজেপির জেলা নেতারা।
গত সোমবার রাতে জলপাইগুড়ির জেলা কমিটির বৈঠক ছিল। ভার্চুয়াল বৈঠকে জেলা নেতাদের সকলকেই একে একে বলার সুযোগ দেওয়া হয়। নেতাদের বক্তব্যে ঘুরে ফিরে আসে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন এবং কিশোর বর্মণের নাম। ভোটে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পরে বিজেপির সংগঠন ছন্নছাড়া, কর্মীদের মনোবল ভেঙে গিয়েছে। এই সময়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের দেখা নেই কেন, প্রশ্ন তুললেন জেলা নেতারা। মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে জেলার বিধায়কদের কেউ কেউ দল ছাড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে সরাসরি আক্রমণ করেছেন তাঁরা।
সোমবার রাত আটটার পরে ভার্চুয়াল বৈঠক শুরু হয়। রাজগঞ্জের এক নেতা বলেন, “কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেননরা কোথায়? ভোটের আগে বড়বড় কথা বলে গেলেন, এখন কাউকে দেখছি না কেন?”
ভার্চুয়াল সভায় বক্তাদের বেশিরভাগই দাবি করেন, নিচুতলার কর্মীদের মনোবল পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে। দলের নেতৃত্ব পাশে না দাঁড়ানোয় কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। বিজেপি সূত্রের খবর, ভার্চুয়াল বৈঠকে মালবাজারের এক নেতা বলেন, “আমরা সকলে মিলে আবার রাস্তায় নেমে আন্দোলন করব। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যেন হঠাৎ করে মাথার ওপরে চেপে বসে উল্টোপাল্টা সিদ্ধান্ত না নেন।”
বৈঠকে জেলার সব বিধায়ক ছিলেন। ধূপগুড়ির বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়, ময়নাগুড়ির বিধায়ক কৌশিক রায় এবং নাগরাকাটার বিধায়ক পুনা ভেঙরা পুরো সময়ের বৈঠকে থাকলেও ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় পুরো বৈঠকে ছিলেন না। শিখা কলকাতায় ছিলেন। সেখান থেকে ভিডিয়ো বৈঠকে যোগ দেন তিনি। তার পরে নেটওয়ার্কে কিছু সমস্যা থাকায় তিনি পুরো সময়ে থাকতে পারেননি বলে দাবি করেন।
জলপাইগুড়ি সদরের এক নেতা বলেন, “ভোটের আগে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, কিশোর বর্মণরা বলেছিলেন, তাঁরাই নাকি ভোটে জিতিয়ে দেবেন। এখন তো কাউকে দেখা যাচ্ছে না। এ ভাবে কিন্তু দল চলবে না।” জলপাইগুড়ি সদর আসনে বিজেপি হেরেছে। রাজগঞ্জ এবং মালবাজারও হেরেছে বিজেপি। সেই এলাকার নেতারা কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপরে ক্ষোভ বেশি করে উগড়ে দিয়েছেন বলে খবর। নেতাদের সব ক্ষোভের কথাই শুনেছেন নেতৃত্ব। কাউকে মাঝপথে থামিয়েও দেওয়া হয়নি বলে খবর। দলের জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর কথায়, “দলের কিছু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সকলে আন্তরিক ভাবে নিজেদের কথা বলেছেন, দলের সিদ্ধান্তের কথাও শুনেছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy