ওষুধ পেতে মোবাইল বন্ধকের ঘটনায় ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের ওপরই দায়ভার চাপাল জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতর৷ এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে শুধুমাত্র সতর্ক করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ শো-কজ করা হয়েছে ওই ওষুধের দোকানকে।
বুধবার কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা গোটা ঘটনার জন্য হাসপাতালকেই দায়ী করেছিলেন৷ তার পরেও শুধুমাত্র ওষুধের দোকানের ওপর দায় বর্তানোয় বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার বলেছেন, ‘‘যতটা করণীয় তা করেছি৷ বাকিটা ওপর মহল দেখবে৷’’
সোমবার বিষ খেয়ে গুরুতর অসুস্থ রংধামালির বাসিন্দা বিহানী লোহারকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ, হাসপাতালে ওষুধ নেই বলে জানিয়ে ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে তাঁর স্বামীকে ওষুধ নিয়ে আসতে বলা হয়। পুরো টাকা না থাকায় তাঁকে মোবাইল বন্ধক রেখে ওষুধ নিতে হয়৷ শেষ পর্যন্ত তাঁর স্ত্রীকে বাঁচানো যায়নি।
মঙ্গলবার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছিলেন, রোগীর আত্মীয় নন, হাসপাতালে কোনও ওষুধ না থাকলে সেটা কিনে আনার দায়িত্ব হাসপাতালেরই৷
কিন্তু, এ দিন তিনি জানান, হাসপাতাল সুপার, নার্সিং সুপার ও কর্তব্যরত নার্সদের সতর্ক করা হয়েছে৷ তাঁর কথায়, ‘‘ওষুধের দোকানের কর্মীদের মোবাইল বন্ধক নেওয়া উচিত হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই সমস্যা সমাধানের উপায় মিলত।’’
তবে ওষুধের দোকানের কর্মীরা এ দিনও বলেন, ‘‘মানবিকতার খাতিরে আগেও রোগীর আত্মীদের বাকিতে ওষুধ দেওয়া হয়েছিল৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা পাওয়া যায়নি।’’ এ ব্যাপারে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন ধরেননি সুপার৷ এসএমএসএর-ও উত্তর দেননি৷ নার্সিং সুপার অন্নপূর্ণা দাস বলেন, ‘‘আমি এই মুহূর্তে বাইরে রয়েছি৷ কী হয়েছে বলতে পারব না৷’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy