Advertisement
০৫ মে ২০২৪

পণের বলি রায়গঞ্জে

পণের টাকা চেয়ে না পাওয়ায় এক তৃণমূল নেতার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে ওই অভিযোগকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় রায়গঞ্জের রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লহড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম লতা বর্মণ (২৩)

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
  রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৮ ০২:৪৫
Share: Save:

পণের টাকা চেয়ে না পাওয়ায় এক তৃণমূল নেতার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে ওই অভিযোগকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় রায়গঞ্জের রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লহড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম লতা বর্মণ (২৩)। এ দিন সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনার পর থেকে মৃতার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক। অন্যদিকে, বুধবার রাতে রায়গঞ্জের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের দেবীনগরে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র এক বালকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এ দিন শোওয়ার ঘরের টিনের চালার কাঠের সিলিং থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় কিরিশ সিংহ (১১) নামে ওই বালকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকেরা মৃত বলে জানান। পড়াশোনা না করায় ওইদিন সকালে ওই বালককে মারধর ও বকাবকি করেন তার মা। সেই কারণে অভিমানে সে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সুমিত কুমারের দাবি, লতার পরিবারের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

লতার বাবা বারোদুয়ারি এলাকার বাসিন্দা অতুল বর্মণ রায়গঞ্জ ব্লকের শীতগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান। পাশাপাশি, তিনি তৃণমূলের এসসি-এসটি এবং ওবিসি সেলের জেলার সহকারী সভাপতির দায়িত্বে। লতার সঙ্গে পাঁচ বছর আগে লহড়া এলাকার বাসিন্দা পেশায় চাষি অরবিন্দ বর্মণের বিয়ে হয়। তাঁদের চার বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। অতুলের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মাঝেমধ্যে বাপের বাড়ি থেকে কখনও ১০ হাজার, আবার কখনও ৫০ হাজার টাকা চেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা লতাকে মারধর ও তাঁর উপর মানসিক নির্যাতন চালাতেন। বুধবার রাতেও লতার স্বামী অরবিন্দ ও শাশুড়ি বাসন্তীর সঙ্গে লতার গোলমাল হয়। অতুলের কথায়, ‘‘মেয়ে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে অস্বীকার করায় এ দিন অরবিন্দ ও বাসন্তী মেয়েকে মারধর ও শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। পুলিশের কাছে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছি। মেয়ের মৃতদেহ সত্কারের পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করব।’’ যদিও অরবিন্দ প্রতিবেশীদের কাছে দাবি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। মানসিক কোনও কারণে তাঁর স্ত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

অন্যদিকে, কিরিশ রায়গঞ্জের কৈলাসচন্দ্র রাঁধারানি বিদ্যাপীঠে পড়াশোনা করত। তার বাবা রীতেশ ট্রাকচালক। মা মামনি গৃহবধূ। তাঁদের তিন ছেলের মধ্যে কিরিশ সবথেকে ছোট। কিরিশের মেজদা বিশালের দাবি, ‘‘পড়াশোনা না করে ঘুরে বেড়ানোর কারণে বুধবার সকালে মা ভাইকে বকাবকি ও মারধর করেছিলেন। তার জন্যই অভিমানে ভাই আত্মহত্যা করেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Violence Crime Death Dowry Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE