Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Maldah

মূল্যবৃদ্ধি, বৃষ্টির জোড়া ফলায় বাজার ফিকেই

এ দিন সকাল থেকে রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, ইটাহার, করণদিঘি, ইসলামপুর, চোপড়া, গোয়ালপোখর ১ ও ২ ব্লকের পোশাকের দোকানগুলিতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি।

বিকেলের আগে সামান্য কেনাকাটা চলে বালুরঘাটে। নিজস্ব চিত্র

বিকেলের আগে সামান্য কেনাকাটা চলে বালুরঘাটে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:৪২
Share: Save:

পুজোর আর মাত্র তিন সপ্তাহ বাকি। তবু মালদহ ও দুই দিনাজপুর জেলায় পুজোর বাজার কার্যত ফিকে। এ দিন, রবিবারে তিন জেলাতেই রবিবাসরীয় পুজোর বাজার জমল না। মালদহ জেলায় গত চার-পাঁচ দিন ধরে সন্ধ্যের দিকে কিছুটা হলেও পুজোর বাজারে ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছিল। কিন্তু এ দিন দুপুর থেকে বিকেলে কয়েক পশলা বৃষ্টি, তার পরে আকাশ জুড়ে মেঘ থাকায় শেষ পর্যন্ত সন্ধের বাজার ভালই মার খেল। তবে তিন জেলার ব্যবসায়ীদের আশা, আশ্বিন মাস পড়লেই পুজোর বাজার জমে উঠবে।

মালদহ

প্রথম দিকে একেবারে বিক্রি-বাটা না হলেও গত চার দিন ধরে সন্ধের পর দোকানে ভিড় দেখে পুজোর বাজার জমার আশায় বুক বেঁধেছিলেন নেতাজি পুরবাজারের বস্ত্র ব্যবসায়ী মনোজ সাহা। আশা ছিল, রবিবাসরীয় পুজোর বাজারও জমবে। কিন্তু দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত কখনও ভারী, কখনও ঝিরঝিরে বৃষ্টি হওয়ায় পুজোর বাজার একেবারে ফিকে হয়ে যায়। তাতে হতাশ শুধু মনোজ নয়, নেতাজি কমার্শিয়াল মার্কেট থেকে শুরু করে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন বাজার বা জেলার গাজল, চাঁচল, রতুয়া, পাকুয়াহাট এলাকার বাজারের জামা-কাপড় থেকে জুতোর ব্যবসায়ীরা। মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, ‘‘মূল্যবৃদ্ধি সহ নানা কারণে এবারের পুজোর বাজার এখনও সে ভাবে জেলায় জমেনি। তবে শেষ দিকে জমবে বলে আমরা আশাবাদী।’’

উত্তর দিনাজপুর

এ দিন সকাল থেকে রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, ইটাহার, করণদিঘি, ইসলামপুর, চোপড়া, গোয়ালপোখর ১ ও ২ ব্লকের পোশাকের দোকানগুলিতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। দুপুরের দিকে রায়গঞ্জের লাইনবাজার, মোহনবাটী-সহ কয়েকটি এলাকার পোশাকের দোকানে কিছু ক্রেতার দেখা মেলে। কিন্তু, সেই সময়ে রায়গঞ্জে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ফের দোকানগুলি ফাঁকা হয়ে যায়। তবে রায়গঞ্জ ও ইসলামপুরের কয়েকটি শপিংমলে এ দিন সন্ধের পর থেকে ক্রেতাদের কিছুটা ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। রায়গঞ্জের উদয়পুর এলাকার বাসিন্দা পেশায় প্রাথমিক স্কুলশিক্ষক সুজনকুমার দত্ত বলেন, “ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির জেরে সংসারের খরচ টানতেই হিমশিম অবস্থা। তাই এখনও পর্যন্ত আমার ও পরিবারের লোকেদের জন্য পুজোর বাজার করার চিন্তা করিনি।” পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক জয়ন্ত সোম বলেন, “ভাদ্র মাসে অনেকে কেনাকাটা করেন না। আশা করছি, আশ্বিন মাস পড়ার পরে আগামী সপ্তাহ থেকে জেলা জুড়ে পুজোর বাজার জমবে।”

দক্ষিণ দিনাজপুর

সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় রবিবারও প্রত্যাশা মতো বেচাকেনা হয়নি বলেই দাবি করছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পোশাক ব্যবসায়ীরা। এ দিন দুপুর-বিকেলে কিছু দোকানে কেনাকাটা হলেও বিকেল থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি শুরু হয়। তার জেরে বাজারমুখী হতে পারেননি অনেকেই। বালুরঘাট, বুনিয়াদপুর, কুমারগঞ্জ, তপন, এবং গঙ্গারামপুরে পোশাকের দোকান, মলগুলিতে ভিড় সে রকম ছিল না। বালুরঘাটের পোশাক ব্যবসায়ী অমিয় কুণ্ডুর কথায়, ‘‘বিশ্বকর্মা পুজোর পর থেকে বাজার কিছুটা উঠবে বলে আশা করছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE