ভুরিভোজ: পুজোয় পসরা সাজিয়ে নানা রেস্তোরাঁ। নিজস্ব চিত্র
ইলিশ বিরিয়ানি বা পাহাড়ি কাবাবের মত আইটেম তো থাকছেই৷ তারসঙ্গে কোথাও রয়েছে জিএসটির উপর ছাড়। বৃষ্টিতে কেউ আটকে পড়লে তাঁদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থাও রয়েছে৷ পুজোর চারদিন ভোজন রসিক বাঙালির জন্য পোটপুজোর পাশাপাশি এই সুবিধাগুলোও হাজির করছে জলপাইগুড়ির নানা রেস্তোরাঁ৷
চতুর্থীর দিন রবিবার জলপাইগুড়ির ক্লাব রোডের একটি হোটেলে নতুন রূপে একটি রেস্তোরাঁর উদ্বোধন হল৷ নতুন এই রেস্তোরাঁয় এ বছর ইলিশ ও চিকেনের বেশ কিছু নতুন আইটেম করতে চলেছেন হোটেল কর্তৃপক্ষ৷ সেইসঙ্গে মটনের নানা পদ তো থাকছেই৷ ইলিশের পদের মধ্যে ইলিশ ভাপা, সর্ষে ইলিশের মতো পদ ছাড়াও কচু ইলিশ, ইলিশের চাটনি বা ইলিশের ডিমের বড়া পুজোর চারদিন এই রেস্তোরাঁর মেনুতে থাকবে৷ হোটেলের ডিরেক্টর কুশ চৌধুরী জানান, পুজোর চারদিন জিসএসটি-র ওপর ১৫ শতাংশ ছাড়ও দেবেন তাঁরা৷ হোটেল থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যে বাড়ি এমন কেউ যদি বৃষ্টির কারণে খেতে এসে আটকে পড়েন। তাঁকে গাড়িতে করে পৌঁছে দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হবে।
পুজোর চারদিন প্রতিবারই কিছু না কিছু নতুন খাবারের আইটেম থাকে ডিবিসি রোডে কদমতলা মোড়ের কাছের একটি নামকরা রেস্তোরাঁয়৷ যার ব্যতিক্রম হচ্ছে না এবছরও৷ পুজোর কদিনের জন্য তৈরি হচ্ছে লক্ষ্ণৌ নবাবি বিরিয়ানি, লক্ষ্ণৌ ক্লাসিক বিরিয়ানি, মটন বনজরা গোস্ত-সহ নানা পদ। থাকবে নিরামিষ খাবারের ব্যবস্থাও। হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন, পুজোর স্পেশাল পদ তৈরির জন্য তাঁদের রেস্তোরাঁয় লক্ষ্ণৌ ও কলকাতা থেকে রাঁধুনিও আসছেন৷
কদমতলা মোড়ের কাছেই শান্তিপাড়া যাওয়ার রাস্তার আরেকটি রেস্তোরাঁতেও এবার পুজোয় থাকছে চমক৷ সেখানে পুজোর চারদিন স্পেশাল আইটেম হিসাবে হতে চলেছে চিকেনের নানা ধরনের পদ৷ সঙ্গে পুজোর চারদিন দুপুরে বাঙালি খাবারের ব্যবস্থাও থাকবে রেস্তোরাঁটিতে৷
থানা মোড় ও সমাজপাড়া মো়ড়ের মাঝের একটি হোটেলের রেস্তোরাঁ এবারের পুজোয় জোর দিচ্ছে ইলিশের উপর৷ পুজোর ক’দিন সেখানে ইলিশ বিরিয়ানি বানানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ সেইসঙ্গে ইলিশের রকমারি পদ তৈরির জন্যও ভাবনাচিন্তা চলছে বলে জানিয়েছেন হোটেলের কর্মী আশিস রায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy