গঙ্গার জলে প্লাবিত মানিকচকের নারায়ণপুর চর। নিজস্ব চিত্র।
মালদহে চরম বিপদসীমা ছাড়াল গঙ্গা। এর জেরে জেলার একাধিক এলাকা প্লাবিত হল। সঙ্গে তীব্র ভাঙনও শুরু হয়েছে একাধিক জায়গায়। একইসঙ্গে ফুঁসছে ফুলহর ও মহানন্দাও। ফুলহর নদীর জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে একাংশ এলাকা। এলাকার বাসিন্দারা চরম বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে, মানিকচক ব্লকের গদাই ও নারায়ণপুর চরের বাসিন্দাদের ঘর-বাড়িতে জল ঢুকে পড়ায় তাঁরা বাঁশের মাচা ও উঁচু জায়গার
আশ্রয় নিয়েছেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৩৩০ টি পরিবারকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনা হয়েছে। বিলি হয়েছে ত্রাণ। মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (বিপর্যয় মোকাবিলা) মৃদুল হালদার বলেন, ‘‘ব্লকগুলিতে পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। ত্রাণ শিবির করে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।’’
সেচ দফতর সূত্রে খবর, দিন তিনেক আগে গঙ্গার জল স্তর বিপদসীমা ছাড়িয়েছিল। বুধবার ভোরে চরম বিপদসীমা (২৫.৩০) ছাড়িয়ে যায়। মানিকচক ব্লকের গদাই চর ও নারায়নপুর চর প্লাবিত হয়ে পড়ে। ওই দু’টি চরের বাসিন্দাদের ঘরে ঘরে জল ঢুকে পড়ে। সেখানে চার হাজার মানুষের বসবাস। তবে, এই মুহূর্তে বাড়ি ছেড়ে চরের বাসিন্দারা নিরাপদ জায়গায় সরে আসতে রাজি নন বলে দাবি প্রশাসনের। তাঁরা বেশিরভাগ মাচা ও উঁচু ঢিবিতে দিন কাটাচ্ছেন। দুর্গতরা প্রশাসনের কাছে ত্রাণের দাবি জানিয়েছেন।
এ ছাড়া মানিকচক ব্লকের জোতপাট্টা ও রামনগর গ্রামের অসংরক্ষিত এলাকাতেও গঙ্গা ঢুকে পড়েছে। ফুলহরের জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে রতুয়া ১ ব্লকের বিলাইমারি ও মহানন্দাটোলা এবং হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের ইসলামপুর ও দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েত। রাস্তাঘাট জলে ডুবে গিয়েছে। এদিকে, কালিয়াচক ৩ ব্লকের গোলাপ মণ্ডলপাড়া দিয়ে গঙ্গার জল গ্রামে ঢুকতে শুরু করেছে। এদিন গঙ্গা ভাঙনও অব্যাহত ছিল ভূতনির বাঘেধানটোলায়। সেখানে দু’বছর আগে বোল্ডার দিয়ে যে ভাঙন রোধের কাজ হয়েছিল তার কিছুটা অংশ এদিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেচ দফতরের মালদহ ডিভিশনের নির্বাহি বাস্তুকার প্রণব সামন্ত বলেন, ‘‘এদিন চরম বিপদসীমা অতিক্রম করেছে গঙ্গা। পরিস্থিতির উপর আমরা নজর রাখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy