Advertisement
E-Paper

নতুন নথিভুক্ত চাষি ৮০০০

জেলা খাদ্য নিয়ামক জয়ন্ত রায় জানান, ২ নভেম্বর থেকে জেলায় সরকারি ভাবে ধান কেনার দিন ধার্য হয়েছিল।

অনুপরতন মোহান্ত

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২০ ০৮:১৬
ব্যস্ততা: জোরকদমে কাজ চলছে মালদহেও। নিজস্ব চিত্র

ব্যস্ততা: জোরকদমে কাজ চলছে মালদহেও। নিজস্ব চিত্র

২৩ নভেম্বর থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরে নথিভুক্ত কৃষকদের কাছ থেকে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কিনবে জেলা খাদ্য দফতর। তার আগে ২১ নভেম্বর জেলার ৮টি কিসানমাণ্ডিতে নথিভুক্ত চাষিদের নামের তালিকা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। খাদ্য দফতর জানিয়েছে, এ বছর নথিভুক্ত প্রায় ৩০ হাজার চাষির কাছ থেকে ৯৫ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

জেলা খাদ্য নিয়ামক জয়ন্ত রায় জানান, ২ নভেম্বর থেকে জেলায় সরকারি ভাবে ধান কেনার দিন ধার্য হয়েছিল। কিন্তু এখনও ধান কাটার কাজ শেষ হয়নি। তা-ই তা কেনার প্রক্রিয়া এখনও শুরু করা যায়নি। তিনি জানান, গত বছর প্রায় ২২ হাজার নথিভুক্ত ধানচাষির সঙ্গে এ বছর এখনও পর্যন্ত আরও প্রায় ৮ হাজার চাষি নাম নথিভুক্ত করেছেন। প্রতি কুইন্ট্যাল ১৮৬৮ টাকা সহায়ক মূল্যে ধান কেনা হবে। তার সঙ্গে পরিবহণ খরচ হিসেবে চাষিরা প্রতি কুইন্ট্যালে আরও ২০ টাকা পাবেন। প্রত্যেক চাষির কাছ থেকে প্রথম দফায় ১০ কুইন্ট্যাল করে ধান কেনা হবে।

জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইনে চাষিরা যে কোনও সংস্থা বা ব্যক্তিকে যত খুশি ধান বেচতে পারবেন। তবে সহায়ক মূল্যের বিষয়টি ওই আইনে লিপিবদ্ধ নেই বলে অভিযোগ। সে ক্ষেত্রে চাষিরা ধানের সরকার নির্ধারিত সহায়ক দাম পাবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।’’ তিনি জানান, এ বছর ভারতীয় খাদ্য নিগম (এফসিআই) ধান কিনতে নামবে কিনা জানা যায়নি। কৃষি দফতর জানায়, এ বার জেলায় প্রায় ১০ লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে। তার মধ্যে ৯৫ হাজার মেট্রিক টন ধান সহায়ক মূল্যে কিনবে খাদ্য দফতর।

জেলার লক্ষাধিক ধান চাষির মধ্যে মাত্র ৩০ হাজার চাষির কাছ থেকে অল্প পরিমাণ ধান কেনার খবরে উদ্বিগ্ন বাম কৃষক সংগঠন। আরএসপি-র কৃষকসভার নেতা সাজাহান সর্দারের বক্তব্য, বিশাল সংখ্যক ধানচাষি সরকারি সহায়ক মূল্যের সুবিধার বাইরে থেকে যাবেন। তাতে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীর কবলে পড়ে অনেক চাষিই কম দামে ধান বেচতে বাধ্য হবেন। বিজেপির কিসান মোর্চার জেলা সভাপতি শঙ্করদাস লাহা বলেন, ‘‘সমস্যা মেটাতে রাজ্য থেকে ধানচাষিদের পাশে দাঁড়িয়ে অনলাইনে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির ব্যবস্থা করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও বড় কোনও ব্যবসায়ীর খোঁজ মেলেনি। এফসিআই-কেও ধান কিনতে অনুরোধ করা হয়েছে।’’

farmers new nominations State Food and Supplies Department
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy