লাল-তেরঙ্গা পতাকায় উজ্জ্বল রাস্তা।—নিজস্ব চিত্র
জোট প্রার্থীর সমর্থনে মিছিলে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ হয়ে থাকল ময়নাগুড়ি শহর। মঙ্গলবার বিকেলে ময়নাগুড়ির ময়নাপাড়া থেকে তৃণমূল বিরোধী জোটের মিছিল বের হয়। দুপুর থেকেই এলাকার সিপিএম পার্টি অফিসে সিপিএম-কংগ্রেস এবং আরএসপির নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন।
বিকেল চারটে নাগাদ মিছিলের শুরু হতেই শহরে যানজট হতে থাকে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে মিছিল হয় শহরে। একদিকে ডুয়ার্স অন্যদিকে জলপাইগুড়ি শহরের সঙ্গে ময়নাগুড়ির যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। জোটের নেতাদের দাবি মিছিল আরও কিছুটা যাওয়ার কথা থাকলেও, ভিড় এবং যানজটের কারণে মাঝপথেই মিছিল শেষ করে দেওয়া হয়। মিছিলের পরে সুপার মার্কেট এলাকায় সভাও করেন জোটের নেতার। মিছিল শেষের পরেও ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ থাকে ময়নাগুড়ি শহর।
ময়নাগুড়িতে বিরোধী জোটের আরএসপি প্রার্থী ছায়া রায়-সহ বাম এবং কংগ্রেস নেতারা মিছিলের সামনে ছিলেন। জোটের নেতাদের দাবি, ময়নাগুড়িতে সাম্প্রতিককালে এমন মিছিলের নজির নেই। প্রার্থী ছায়াদেবীর কথায়, ‘‘এত মানুষ মিছিলে আসবেন তা ভাবতেই পারিনি। আমরা কিন্তু লোক জোগাড় করে আনিনি। সকলে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মিছিলে এসেছিলেন। মিছিলে বিপুল ভিড় দেখেই বোঝা যাচ্ছে মানুষ আমাদের পাশেই রয়েছেন।’’
এ দিনের মিছিলের ভিড় চিন্তায় ফেলেছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশকে। প্রার্থী নিয়ে তৃণমূলের মধ্যেই অসন্তোষ ছিল। বিদায়ী বিধায়ককে প্রার্থী না করার দাবিতে ভোটের আগে দলের পতাকা-ব্যানার নিয়ে মিছিলও করেছিলেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। ময়নাগুড়িতে বিদায়ী বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারীকেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল। সে কারণে দলের নেতাদের একাংশের মদতেই বিরোধী মিছিলে ভিড় বাড়ছে কিনা তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে তৃণমূল শিবিরে। যদিও, তৃণমূল প্রার্থী অনন্তবাবুর দাবি, ‘‘কোথাও সমস্যা নেই। বিরোধীদের মিথ্যে প্রচার। মানুষ কাদের সঙ্গে রয়েছে তা ভোট গণনার দিনই জানা যাবে। ময়নাগুড়িকে পুরসভা ঘোষণা-সহ যে উন্নয়নের কাজ হয়েছে, তা সকলেই জানেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy