Advertisement
E-Paper

শুভেচ্ছার মোড়কে জনসংযোগ পয়লা প্রচারে

কেউ সদলবলে সকালে মন্দিরে হাজির, কেউ বা দোকানে দোকানে গিয়ে হালখাতা সারলেন। বাড়িতে গিয়ে গৃহকর্তার হাতে ক্যালেন্ডার ধরালেন কেউ, আবার পথচলতি বাসিন্দাদের কার্ড বিলি করতেও দেখা গেল কাউকে। তাঁদের দায়িত্বও আলাদা। কেউ নিজে প্রার্থী হয়েছেন, কারও উপরে আবার দলের প্রার্থীদের জিতিয়ে আনার ভার রয়েছে। পুরভোটের বাকি আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন। তাই, বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন ওঁরা নানা জন, নানা ভাবে শুরু করলেও, দিনভর শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্যেই জনসংযোগও সেরে নিলেন সকলে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৫ ০২:০৮

কেউ সদলবলে সকালে মন্দিরে হাজির, কেউ বা দোকানে দোকানে গিয়ে হালখাতা সারলেন। বাড়িতে গিয়ে গৃহকর্তার হাতে ক্যালেন্ডার ধরালেন কেউ, আবার পথচলতি বাসিন্দাদের কার্ড বিলি করতেও দেখা গেল কাউকে। তাঁদের দায়িত্বও আলাদা। কেউ নিজে প্রার্থী হয়েছেন, কারও উপরে আবার দলের প্রার্থীদের জিতিয়ে আনার ভার রয়েছে। পুরভোটের বাকি আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন। তাই, বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন ওঁরা নানা জন, নানা ভাবে শুরু করলেও, দিনভর শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্যেই জনসংযোগও সেরে নিলেন সকলে।

কোচবিহার জেলায় চারটি পুরসভায় ভোট রয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ প্রচার চালাচ্ছেন। নববর্ষের সকালে রবিবাবুকে দেখা গেল মদনমোহন মন্দিরে। দলের বেশ কয়েকজন প্রার্থীকে নিয়ে বুধবার সকালে মদনমোহন বাড়িতে যান তিনি। সেখানে প্রার্থনা সেরে, ৮, ১১ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার চালান। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের শোভাযাত্রা বের হয়। মদনমোহন বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপির কোচবিহার ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী নিখিল রঞ্জন দে-ও। পুজোও দিয়েছেন তিনি।

ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক বিধায়ক উদয়ন গুহ দিনহাটার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি এ দিন হালকা মেজাজে কাটিয়েছেন। বেশির ভাগ সময় দলীয় অফিসে ছিলেন। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন, আলোচনাও সেরেছেন। সন্ধ্যায় নিজের ওয়ার্ডে প্রচার সারেন তিনি। দিনহাটার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থী শিউলি চট্টোপাধ্যায় রায় এ দিন সকাল থেকে কার্ড এবং চকোলেট নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে তিনি শুভেচ্ছা জানান। বাদ দেননি প্রতিদ্বন্দ্বীর বাড়িও। তৃণমূল প্রার্থী সঙ্গীতা চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন শিউলিদেবী। শুভেচ্ছাবার্তা লেখা কার্ড ও চকোলেট দেন তাঁর হাতে। ওয়ার্ডের অনান্য প্রার্থীদের সঙ্গেও দেখা করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। তুফানগঞ্জে সিপিএম নেতা তমসের আলি তুফানগঞ্জে এবং জেলা কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল চৌধুরী কোচবিহারে জনসংযোগ সেরেছেন।

নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে মালবাজারে ঢাকঢোল নিয়ে বেরিয়েছিল বিজেপি। বুধবার বিজেপির ১৫ জন প্রার্থী ১৫টি ট্যাবলো নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। শহরের গুরুজংঝোরা মোড়ের পার্টি অফিসের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়। বৈশাখ দেয় নতুনের ডাক জীর্ণ, যা কিছু যাক ঘুছে যাক স্লোগানকে সামনে রেখে এ দিন মালবাজারে প্রচার চালায় বিজেপি। শুভেচ্ছা জানিয়ে জনসংযোগে বাসিন্দাদের ভাল সাড়া মিলেছে বলে দাবি করেছেন বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা মজদুর মোর্চার সভাপতি দেবব্রত মিত্র। তৃণমূলের তরফেও থেকেও এ দিন মালবাজারের ২ নম্বর ওয়ার্ডে ইস্তাহার ও মিস্টি বিলি করা হয়।

একই ছবি দেখা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরেও। প্রচার মিছিলের পরিবর্তে শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময়ে জনসংযোগ করে তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘‘নতুন বাংলা বছরে সকলেই উৎসবে মেতে থাকেন। সে কারণে প্রচার না করে শুভেচ্ছা বিলি করা হয়েছে।’’ গঙ্গারামপুরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে আদিবাসীদের নিয়ে মাদল তাসা বাজিয়ে সিপিএম প্রার্থীরা এ দিনও প্রচার চালিয়েছেন। দলের জেলা নেতা অচিন্ত্য চক্রবর্তী বলেন, ‘‘নববর্ষের উৎসবের মেজাজেই জনসংযোগ করা হয়েছে।’’ বিজেপি এবং কংগ্রেস কর্মীরা অবশ্য সংগঠনিত ভাবে কোনও কর্মসূচি এ দিন রাখা হয়নি বলে জানিয়েছেন। বিজেপি জেলা সভাপতি গৌতম চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল।’’

কার্ডের সঙ্গে ক্যালেন্ডারও বিলি হয়েছে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে। বাংলা ক্যালেন্ডার ছাপিয়ে বাড়ি বাড়ি বিলি করেছেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী। ক্যালেন্ডার বিলি করেছেন শহরের ১২ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির প্রার্থীরাও। ক্যালেন্ডারে প্রার্থীর নাম ও প্রতীকও ছাপা ছিল। এ দিন সন্ধের পরে শহরের বাজার এলাকায় হালখাতা করতে বেরিয়েছিলেন ইসলামপুর পুরসভার বিদায়ী কংগ্রেসি চেয়ারম্যান কানাইলাল অগ্রবাল। জেলার কালিয়াগঞ্জ পুরসভাতেও ভোট প্রচার তুঙ্গে ছিল। এলাকার বয়রা কালীবাড়িতে প্রতি বছরই নববর্ষের দিন ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে। এ দিন সকালে কালীবাড়িতে দেখা গেল ভোট প্রার্থীদেরও। কালিয়াগঞ্জের বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী বয়রা কালিবাড়ি মন্দিরে পুজো দিয়ে নিজের ওয়ার্ড-সহ ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার শুরু করেন। বয়রা কালীবাড়িতে পুজো দিয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থীদেরও। সিপিএমের তরফেও এ দিন কোনও ওয়ার্ডেই পতাকা, ব্যানার নিয়ে প্রচার চালাতে দেখা যায়নি। সিপিএমের কালিয়াগঞ্জ জোনাল কমিটির সম্পাদক দেবব্রত সরকার জানান, প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ও বিভিন্ন দোকানে গিয়ে হালখাতা করে জনসংযোগ করেছেন। একই ভাবে জনসংযোগ করেছেন বিজেপি প্রার্থীরাও। মালদহেও প্রচার-মিছিলের পরিবর্তে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গিয়েছে ভোট প্রার্থীদের। এ দিন সকালে মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ১৭ নম্বর ওর্য়াডের প্রার্থীর হয়ে প্রচারে বের হন।

coochbehar municipal election trinamool tmc cpm congress bjp malda rabindranath ghosh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy