Advertisement
০৮ মে ২০২৪

হস্টেলে দেহ উদ্ধার ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের

হস্টেলের ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হল জলপাইগুড়ির সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রের৷ কলেজের ছাত্র সংসদের এজিএস ওই ছাত্র রবি গুপ্তকে (২১) সোমবার দুপুরে তাঁর ঘরের দরজা ভেঙে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করেন সহপাঠীরা৷

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৩৯
Share: Save:

হস্টেলের ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হল জলপাইগুড়ির সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রের৷ কলেজের ছাত্র সংসদের এজিএস ওই ছাত্র রবি গুপ্তকে (২১) সোমবার দুপুরে তাঁর ঘরের দরজা ভেঙে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করেন সহপাঠীরা৷ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন৷ মঙ্গলবার দেহের ময়নাতদন্ত হবে৷

কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবির বাড়ি পুরুলিয়াতে৷ তিনি জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটর সায়েন্সের ছাত্র ছিলেন৷ কলেজ চত্বরে হস্টেলের দোতলায় একটি ঘরে একাই থাকতেন৷ ১৭ তারিখ চতুর্থ বর্ষের সেকেন্ড সেমেস্টারের পরীক্ষা শেষ হয় তাঁর৷ রবির সহপাঠীরা জানিয়েছেন, এ দিন প্রায় ভোর রাত পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে গল্প-গুজব করে নিজের ঘরে ঘুমোতে যান তিনি৷ তার পর এ দিন বেলা সাড়ে বারোটা বেজে গেলেও ঘুম থেকে না ওঠায় হস্টেলেরই কয়েক জন ছাত্র তাঁকে ডাকতে যায়৷ ঘর ভেতর থেকে বন্ধই ছিল৷ তিনি না খোলায় দরজা ভেঙে বিছানা থেকে রবিকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করেন তাঁরা।

রবির এক সহপাঠী বলেন, “দুপুর বেলা খাচ্ছিলাম৷ আচমকা হইচই শুনে ওর ঘরের সামনে ছুটে যাই৷ দরজা ভাঙার পর দেখি বিছানায় শুয়ে রয়েছে রবি৷ শরীরটা শক্ত হয়ে গিয়েছিল৷ কলেজের সবাইকে খবর দিই। রবিকে হাসপাতালেও নিয়ে যাই৷ কিন্তু তত ক্ষণে সব শেষ৷” কলেজের অধ্যক্ষ অমিতাভ রায় বলেন, “দুপুর বেলায় জিএস আমায় ফোন করে ঘটনাটা জানায়৷ তার পরই হাসপাতালে ছুটে যাই৷ রবির এক সহপাঠীর কাছে শুনছিলাম, রবিবার ও একবার বলেছিল শরীরটা ভাল লাগছে না৷”

কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেকেন্ড সেমেস্টারের পরীক্ষা শেষ হলেও অনেক ছাত্রই হস্টেলে রয়েছেন৷ রবির এক সহপাঠী বলেন, ‘‘সামনেই গেট পরীক্ষা ৷ তার প্রস্তুতির জন্যই আমরা বাড়ি যাইনি৷’’ কলেজের এক শিক্ষক বলেন, ‘‘পরীক্ষা ছাড়াও কিছু দিন পর কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও রয়েছে৷ সে জন্যও অনেকে হস্টেল ছেড়ে বাড়ি যায়নি৷’’ কলেজের ছাত্র সংসদের জিএস নীতিশ খান্ডালিয়া বলেন, ‘‘রবি আমার খুব ভাল বন্ধু ছিল৷ রবিবার রাতেও আমরা অনেক ক্ষণ ধরে গল্প-গুজব করি৷ তার পর এ দিনই ঘটনা৷’’

জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘কোতোয়ালি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে৷ ময়নাতদন্তের পরই বোঝা যাবে কী ভাবে মৃত্যু হল৷’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Engineering student
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE