Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Dengue

ডেঙ্গি রুখতে বছরের শুরু থেকে প্রস্তুতি

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ জেলায় ২০১৩ সালে ১৬ জন, ২০১৪ সালে ১৪ জন, ২০১৫ সালে ৪৮ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিল। ২০১৬ সালে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা একলাফে বেড়ে হয় ১২৪৮ জন।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

জয়ন্ত সেন
মালদহ শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৫৪
Share: Save:

দেরিতে হলেও জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। তাতেই কমছে ডেঙ্গির প্রকোপ। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গত মাসেও জ্বরে আক্রান্ত রোগীর ভিড়ে ওয়ার্ডগুলি থিকথিক করত। সেই ছবি এখন ফিকে। অবস্থা সামাল দিতে চালু হওয়া ফিভার ওয়ার্ডও বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু স্বস্তি ফিরলেও চলতি বছরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ নিয়ে আর দেরি করতে রাজি নয় স্বাস্থ্য দফতর, পুরসভা বা জেলা প্রশাসন। তাই, নতুন বছরের শুরু থেকেই মালদহ জেলায় মাঠে নামতে চলেছে তাঁরা। এ জন্য পরিকল্পনা করে জানুয়ারির প্রথম দিন থেকেই কর্মসূচি নেওয়ার তোড়জোড় চলছে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ জেলায় ২০১৩ সালে ১৬ জন, ২০১৪ সালে ১৪ জন, ২০১৫ সালে ৪৮ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিল। ২০১৬ সালে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা একলাফে বেড়ে হয় ১২৪৮ জন। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বছর মে মাস থেকেই ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহ পুর এলাকায় মাঠে নেমেছিল স্বাস্থ্য দফতর ও পুরসভা। তাতেও ডেঙ্গির বাহক এডিস ইজিপ্টাই মশার দৌরাত্ম্য কমাতে পারেনি দুই দফতর। স্বাস্থ্য দফতরেরই পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরে এ পর্যন্ত জেলার সাড়ে ছশোরও বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন। পুরাতন মালদহ ব্লকের নারায়ণপুর পাড়াদিঘি গ্রামের চায়না ঘোষ নামে এক বধূ ডেঙ্গিতে মারাও যান। যদিও বেসরকারিভাবে মৃত্যুর সংখ্যা ৬ জন। প্রশাসন জানাচ্ছে, এ বছরের অভিজ্ঞতার নিরিখে আগামী বছরে আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না তাঁরা। তাই, ২০১৮ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকেই ডেঙ্গি সহ মশাবাহিত রোগ মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

ঠিক হয়েছে, জানুয়ারির প্রথম দিন থেকেই দুই শহর ও ডেঙ্গির প্রকোপে পড়া ব্লকগুলিতে নিয়মিত ফগিং, মশা মারার তেল স্প্রে করা হবে। এ জন্য পুর এলাকায় ওয়ার্ড পিছু দুটি করে স্প্রে মেশিন ও ২৫ হাজার বাসিন্দা পিছু একটি করে ফগিং মেশিন কিনতে বলা হয়েছে। এই কাজে শুধু স্বাস্থ্য দফতরকেই নয়, পুরসভা, পঞ্চায়েত, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি, পূর্ত, সমাজকল্যাণ, এমনকী শিক্ষা দফতরকেও মাঠে নামানো হবে। এ নিয়ে একটি প্রশাসনিক বৈঠকও হয়েছে।

ঠিক হয়েছে, ডেঙ্গি প্রকোপের প্রাবল্য অনুযায়ী চারটি স্তরের ওয়ার্ড ভাগ করে সেই অনুযায়ী পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি ৭ দিন, ১৫ দিন, ২১ দিন ও একমাস অন্তর বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেউ জ্বরে আক্রান্ত কি না, বাড়িতে জমা জল রয়েছে কি না সে ব্যাপারেও খোঁজ, সচেতনতা ও সমীক্ষা চালানো হবে। সে সব রিপোর্ট নিয়ে নিয়মিত পর্যালোচনা হবে। জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মশাবাহিত রোগ মোকাবিলায় এ বার আমরা বছরের শুরু থেকেই সচেতনতার সঙ্গে পুকুরে গাম্বুশিয়া মাছ ছাড়া, ফগিং, তেল স্প্রে সমস্ত পদক্ষেপই করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE